আত্মসমর্পণ করা ২ জনের ধুমধাম করে বিয়ে দিল পুলিশ
২ জন ২ সময়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এবার তাঁদের চারহাত এক করে দিল পুলিশই। তাঁদের নতুন জীবন শুরু করার রাস্তাও দেখাল।
পাত্র অতিগরীব পরিবারের ছেলে। এক সময় ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা ছেলেটি যোগ দিয়েছিলেন মাওবাদীদের সঙ্গে। তারপর টানা ৯ বছর মাওবাদী হিসাবে ঘুরেছেন এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে। ওড়িশার কালাহান্ডি এলাকায় মাওবাদী হিসাবে তাঁর কাজ পরে। ২০২০ সালে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন রামদাস।
অন্যদিকে পাত্রী কালামদেই ছিলেন কালাহান্ডিরই বাসিন্দা। তিনিও দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। যোগ দেন মাওবাদী স্কোয়াডে। তারপর মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৬ সালে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে জীবনের মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টা শুরু করেন।
এই ২ প্রাক্তন মাওবাদী সদস্যের ধুমধাম করে বিয়ে দিল ওড়িশা পুলিশ। পুলিশই উদ্যোগ নিয়ে ২ পরিবারকে একসঙ্গে কথা বলিয়ে এই বিয়ের আয়োজন করে।
বিয়ের আসর বসেছিল কালাহান্ডি জেলার ভবানীপাটনা এলাকার রিজার্ভ পুলিশ মাঠে। এই মাঠেই রয়েছে একটি মন্দির। সেই মন্দিরেই রামদাস ও কালামদেইয়ের বিয়ে হয়। প্রথা, রীতি মেনেই বিয়ে হয় ২ জনের।
২ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে সব স্তরের কর্মীরা। বিয়ের আসর সাজানো থেকে বিশাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন, সবই করেছিল পুলিশ।
বিয়েটা মনে রাখার মত করেই হয় ২ জনের। আয়োজনে কোনও ত্রুটি ছিল না। ২ জনে যাতে আগামী জীবনটা সুন্দরভাবে কাটাতে পারেন সেজন্যও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। এই বিয়ে কিন্তু অন্য মাওবাদীদেরও আলোর পথ দেখাতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা