দেশেই রয়েছে ঐতিহাসিক গুহা, ৩ হাজার বছর পুরনো নিদর্শন
এ দেশের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এই আবিষ্কার। পাণ্ডব গুহা বলে পরিচিত স্থানে মিলল ৩ হাজার বছর পুরনো অনন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
জায়গাটা অনেকেই অনেক দিন ধরেই দেখছেন। একটি গোলাকার পাথরের নিদর্শন। সেখানেই রয়েছে একটি গুহার মত। যাকে স্থানীয়রা চেনেন পাণ্ডব গুহা নামে।
জায়গাটা দেখতে কিছু মানুষের আসা যাওয়াও ছিল। কিন্তু আর কোনও বিশেষত্ব এর থাকতে পারে তা কেউ কোনওদিন ভাবেননি। বরং এখানেই বিশাল এলাকা জুড়ে চলে কাজুবাদাম চাষ।
কিছুদিন আগে গ্রামবাসীদের কয়েকজন সেখানে কাজ করতে গিয়ে নজর করেন যে বিশাল গোল পাথরের নিচেও কিছু রয়েছে। খবর পেয়ে এমএসআরএস কলেজের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুরুগেসি হাজির হন সেখানে। সঙ্গে ছিলেন ছাত্ররাও। ২ দিন ধরে চলে ওই স্থান ঘিরে গবেষণা।
মেগালিথিক স্থাপত্য দেখে মুরুগেসি জায়গাটা আরও খতিয়ে দেখা শুরু করেন। প্রসঙ্গত মেগালিথিক হল একটি বা একাধিক পাথরের স্থাপত্য যার তলায় অনেক সময় সমাধিক্ষেত্র থাকে।
যেটা গবেষকদের অবাক করে তা হল গোলাকার পাথরটি। মেগালিথিক স্থাপত্যটি তৈরিই হয়েছে একটি মাত্র গোলাকার পাথর দিয়ে।
এখানেই তাঁর প্রশ্ন তবে কি ৩ হাজার বছর আগে এখানকার মানুষ শূন্যের ব্যবহার জানতেন? এই ৭ ফুট ব্যাসের কারুকার্য করা গোলাকার পাথর সরাতে তার তলায় একটা ফাঁক দেখা যায়। সেখানে একটি অর্ধগোলাকার গুহা মুখ নজরে পড়ে।
গুহামুখটি হেলানো ভাবে তৈরি। ফাঁকটা ২ ফুটের মত। এই গুহার মধ্যে থেকে কিছু মাটির পাত্রও উদ্ধার হয়। তারও নিচে ছিল সমাধিক্ষেত্র।
এখানে সমাধি দিয়ে তার ওপর গোলাকার পাথরের স্থাপত্য তৈরি করা হয়েছিল। এই অনন্য ঐতিহাসিক নিদর্শনের খোঁজ মিলেছে কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার রামাকুঞ্জ গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা