অন্ধ ভালবাসা, অফিসের টাকা প্রেমিকের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেন তরুণী
ভালবাসা অন্ধ হয়। ঠিক ভুল বিচার করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অনেকে এমন বলে থাকেন। যা এদিন একটি ঘটনা দেখিয়েও দিল।
প্রেমে অন্ধ হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। নানা ঘটনায় তা প্রমাণও হয়েছিল। ভালবাসার খাতিরে যে কোনও ঝুঁকি নিতে প্রেমিক বা প্রেমিকা পিছপা হন না। যার ফল কি হতে পারে অনেক সময় তাও ভেবে দেখেননা তাঁরা। অথবা ভেবে দেখার মত অবস্থায় থাকেন না। যেমনটা হল এক তরুণীর ক্ষেত্রে।
চাকরির বাজার যে খারাপ তা সকলের জানা। তিনি অবশ্য নিজ গুণেই একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চাকরি পান। অ্যাকাউন্টান্টের চাকরি পান।
২০১৭ সালে চাকরিতে ঢোকার পর ভালই কাজ করছিলেন তিনি। তাঁর দায়িত্বে ছিল হস্টেল ফি এবং টিউশন ফি-র হিসাব সামলানো। সে কাজও দক্ষতার সঙ্গেই করছিলেন তিনি। এর মধ্যেই তাঁর সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
ওড়িশার ভুবনেশ্বরের যে কলেজে পায়েল মহাপাত্র নামে ওই তরুণী কাজ করছিলেন, সেই কলেজেরই একটি হস্টেলে তিনি থাকতেন। তাঁর সঙ্গে যে যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
২ জনের মধ্যে প্রেম গভীর হয়। এই গভীর প্রেমে কার্যত অন্ধ হয়ে যান পায়েল। তিনি কলেজের কোষাগার থেকে টাকা পাঠাতে শুরু করেন প্রেমিকের অ্যাকাউন্টে।
ওই যুবক এই কলেজেরই ছাত্র ছিলেন। তিনি পায়েলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নানা ছুতোয় টাকা চাইতে থাকেন। কখনও বাবার চিকিৎসা তো কখনও অন্য কিছু দেখিয়ে টাকা নিতে থাকেন ওই যুবক।
আর পায়েলও প্রেমিককে অন্ধ বিশ্বাস করে কলেজ ফান্ড থেকে টাকা পাঠাতে থাকেন। এক আধ টাকা নয়, ৯৭ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা তিনি এভাবে ধাপে ধাপে পাঠিয়ে দেন সকলের অলক্ষ্যে।
কিন্তু একাজ তারপর আর এগোয়নি। বিষয়টি নজরে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের। তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ পায়েলকে গ্রেফতার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা