জামাকাপড় তৈরির সুতো বাজেয়াপ্ত করলেন গোয়েন্দারা, পিছনে অন্য রহস্য
জামাকাপড় তৈরির সুতো যেমন হয়, তেমনই সুতোর গাদা পাচারের আগেই নজরে পড়ে গেল গোয়েন্দাদের। তাঁরা তা বাজেয়াপ্তও করলেন। কারণ পিছনে লুকিয়ে অন্য রহস্য।
জামাকাপড় তৈরির সুতো পাঠানো হচ্ছিল বাইরে। বিপুল পরিমাণ সুতো যেমন প্রায়ই বাইরে যায় তেমনই। তা জাহাজে রওনা দেওয়ার জন্য বন্দরে হাজিরও হয়। কিন্তু সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের।
কিন্তু এমন সুতোর গাদা তো প্রায়ই জাহাজে পাড়ি দেয়। তাহলে এক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়? গোয়েন্দারা কিন্তু সেই সুতোর পুরো কনসাইনমেন্ট খতিয়ে দেখতে থাকেন।
সেখানেই তাঁদের নজরে পড়ে ১০০টি বিশাল ব্যাগ এবং ৪টি সন্দেহজনক ব্যাগ। যা আরও সুতোর ব্যাগের সঙ্গেই ছিল। যে ব্যাগগুলি দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয় সেই ১০০টি বিশাল ব্যাগ থেকে বার হয় প্যাকেটে মোড়া সুতোর গাদা।
গোয়েন্দারা এরপর সেটিকে পরীক্ষা করতেই দেখা যায় দেখতে নিরীহ সুতো হলেও আসলে সুতোর গায়ে লেপ্টে আছে নেশাদ্রব্যের পরত। যা একটি রাসায়নিক ব্যবহার করে সুতোর গায়ে এমনভাবে লাগানো ছিল যা দেখে সকলের মনে হবে সুতোই। আর কিছু নয়। গোয়েন্দারা সন্দেহজনক ৩৯৫ কেজি সুতোর গাদা থেকে ৯০ কেজি নেশাদ্রব্য উদ্ধার করেন।
সকলের নজর এড়িয়ে পাচারের জন্য নানা কৌশল নিয়ে থাকে পাচারকারীরা। তবে এভাবে সুতোর সঙ্গে লেপ্টে নিষিদ্ধ দ্রব্য পাঠানোর কৌশল একেবারেই নতুন। যা দেখে সুতো ছাড়া সাধারণভাবে আর কিছুই মনে হওয়ার কথা নয়।
সেই ফন্দি এঁটেই সকলের চোখে ধুলো দিতে চেয়েছিল পাচারকারীরা। কিন্তু সফল হল না। গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে এই পাচারের কৌশল তাদের ভেস্তে গেল। যাবতীয় সুতোর কন্টেনার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের পিপাভাব বন্দরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা