বরের উচ্চতা ৩৬ ইঞ্চি, তবে তিনি কনের চেয়ে কিছুটা লম্বা
বিয়ে হল বেশ ধুমধাম করেই। হতে পারে বর বা কনের উচ্চতা নজর কাড়ে সকলের। তবে তাঁদের হৃদয় মিলে গেল অন্য নবদম্পতিদের মতই।
অনেকে একটু অবাক চোখে তাকিয়ে দেখেছেন বটে, তাতে তাঁদের কিছু যায় আসেনা। সৃষ্টির উপর কারও জোর চলে না। যেটা নিজেদের হাতে সেটা হল দাম্পত্য জীবনকে সুখী করে তোলা। আর তাতে যে তাঁরা কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নন তা তাঁর বুঝিয়ে দিলেন একে অপরের প্রতি ভালবাসায়।
ধুমধাম করে যিনি বিয়ে করতে এলেন কনের বাড়িতে তিনি উচ্চতায় ৩৬ ইঞ্চি। ফুটের হিসাবে ৩ ফুট। তবে তিনি কনের চেয়ে কিছুটা হলেও লম্বা। যা ভারতীয় সমাজে হয়ে থাকে।
সাধারণভাবে বরের উচ্চতা কনের চেয়ে বেশি হয়। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বরের উচ্চতা ৩ ফুট হলেও কনের উচ্চতা ২ ফুট ১০ ইঞ্চি।
হতে পারে তাঁরা উচ্চতায় একটু ছোট, তবে তাঁদের মানিয়েছিল বেশ। যা দেখে সমবেত সকলেই খুশি। অনেক গ্রামবাসীর আবার বক্তব্য এ বিয়ে দেখে তাঁদের পুতুলের বিয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।
বিহারের ভাগলপুর জেলার নওগাছিয়া ব্লকে এই বিয়ে দেখতে কিন্তু শুধু নিমন্ত্রিতরাই হাজির হননি, অনেকে হাজির হয়েছিলেন বিনা নিমন্ত্রণেই। অনেকে এসে বরকনের সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
বর ২৬ বছরের মুন্না মাসরু গ্রামের বাসিন্দা। কনে ২৪ বছরের মমতা কুমারী আভিয়া বাজারের বাসিন্দা। তাঁদের এই সাতপাকে বাঁধা পড়া কেবল দেখাই নয়, অনেকেই দুহাত তুলে বরকনেকে সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য আশির্বাদ করেছেন।
মুন্নার বাবা জানান, ছেলের উচ্চতার জন্য তিনি খুব চিন্তায় ছিলেন যে তাঁর সঙ্গে মানানসই কনে তিনি কীভাবে পাবেন। কিন্তু এখন তিনি খুশি তাঁর নতুন বৌমাকে পেয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা