গত ৬ মে আইসক্রিম কিনতে দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির বাসিন্দা ১৩ বছরের মেয়েটি বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। ২ মাসের ওপর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর গোটা পরিবার পাগলের মত খুঁজেছেন মেয়েকে। পুলিশকেও জানিয়েছেন সবকিছু। কিন্তু মেয়েকে ফিরে পাননি। পেলেন ২ মাস পর। মেয়ে ততক্ষণে ৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটির পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে বেশ কয়েকজন যুবক তুলে নিয়ে যায়। এই সবকটি যুবকই তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি থাকত। কাজ করত বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। তারাই ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। টানা ২ মাস ধরে লাগাতার গণধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি।
গত ১০ জুলাই অপহরণকারী যুবকদের একজন দিল্লির সাকেত কোর্টে আত্মসমর্পণ করে। সঙ্গে নিয়ে আসে মেয়েটিকে। কিন্তু ততদিনে ৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সে। আপাতত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে রয়েছে মেয়েটি। পুলিশ ওই যুবক সহ আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিকে মেয়েটির বাবার অভিযোগ মেয়েকে যখন তাঁরা পাগলের মত খুঁজছেন, তখন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশ তাঁর কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। তাঁর মেয়েকে খুঁজতে টাকা লাগবে বলে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন মেয়েটির বাবা। এই অভিযোগে কার্যতই মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না দিল্লি পুলিশ। অগত্যা মেয়েটির বাবার অভিযোগের তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের বড়কর্তারা।