মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফ্রিতে খাবার খেতে প্রধান শিক্ষকদের প্লেট নিয়ে কাড়াকাড়ি
তাঁরা তাঁদের নিজের নিজের স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পড়ুয়াদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা তাঁদের কর্তব্য। সেই প্রধান শিক্ষকদের এমন কাণ্ড দেখে পড়ুয়ারাও বাকরুদ্ধ।
নামী হোটেলের বন্দোবস্ত গুছিয়েই হয়। একটা শৃঙ্খলা মেনেই সেখানে যাবতীয় কর্মকাণ্ড চলে। মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজনেও ছিল সেই শৃঙ্খলা।
এক ব্যক্তি থরে থরে সাজানো খাবারের প্লেট ও ন্যাপকিন নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে এক এক জন করে যাবেন। তিনি হাতে করে তাঁদের হাতে প্লেট ও ন্যাপকিন তুলে দেবেন।
এবার সেই প্লেট নিয়ে খাবার যেখানে পরিবেশিত হচ্ছে সেখানে গিয়ে পছন্দমত খাবার প্লেটে তুলে নেবেন সকলে। এভাবেই সব সাজানো থাকলেও যা বাস্তবে হল তা সারা দেশকে হতভম্ব করে দিয়েছে।
দেখা গেছে যে ব্যক্তি খাবারের প্লেট দিচ্ছিলেন তাঁকে কার্যত ঘিরে ফেলেছেন মহিলা পুরুষ সকলে। তাঁর কাছ থেকে প্লেট নেওয়ার ফুরসত কারও নেই। সকলেই কেড়ে নিচ্ছেন প্লেট।
কেউ ওই ব্যক্তির ঘাড়ের কাছ থেকে হাত ঢুকিয়ে, তো কেউ বগলের তলা দিয়ে, কেউ জড়িয়ে ধরে তো কেউ তো আবার থরে থরে সাজানো প্লেটগুলোই তাঁর নিয়ন্ত্রণ থেকে কেড়ে নিলেন।
নারীপুরুষ নির্বিশেষে প্লেটে নেওয়ার জন্য প্রবল ধাক্কাধাক্কি, কাড়াকাড়ি চলছে। কাড়াকাড়ির ধাক্কায় ন্যাপকিনগুলো অধিকাংশই গেল ছিঁড়ে। কিন্তু কাড়াকাড়ি বন্ধ হল না।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকেই তাঁদের আনা হয়েছিল এক প্রথমসারির হোটেলে। রাজ্যের সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এই বৈঠকে আনার জন্য ৫৭টি এসি বাসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বৈঠকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান নিজে উপস্থিত থেকে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে জানতে চান রাজ্যে পড়াশোনার মান উন্নত করতে তাঁরা কি পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি সেই বৈঠকে প্রধান শিক্ষকদের এটাও জানানো হয় যে পড়াশোনার মান উন্নত করতে তাঁদের বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতেও পাঠাবে সরকার।
বৈঠক শেষ হলে জানানো হয় শিক্ষকদের জন্য লাঞ্চের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বড় হোটেলে ফ্রিতে লাঞ্চ! কার্যত সময় নষ্ট না করে এটা শোনার পরই ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। চলে খাবারের প্লেট সংগ্রহের জন্য যাবতীয় নিয়ম শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে কাড়াকাড়ি।
এমন দৃশ্য দেখার পর এক নেটিজেন লিখেছেন দেখে মনে হচ্ছে যেন অনেকদিন তাঁদের কিচ্ছুটি পেটে পড়েনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এমন কাণ্ড দেখে বাকরুদ্ধ পড়ুয়ারাও। যতই হোক এঁরাই তো তাদের স্কুলে গেলে সভ্যতা, শৃঙ্খলার পাঠ দেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা