চুরি করা মূর্তি পড়িমরি করে ফেরাল চোরেরা, কেন ফেরাল তাও জানাল চিঠিতে
যে মূর্তিগুলি চোরেরা চুরি করেছিল সেগুলির দাম কোটি কোটি টাকা। কিন্তু সে মূর্তি ৬ দিনের মধ্যে ফিরিয়েও দিয়ে গেল তারা। কেন ফেরাল তা চিঠি দিয়ে জানাল।
গত ৯ মে মন্দিরে প্রবেশ করে পুরোহিত দেখেন মূর্তিগুলি নেই। মন্দিরে ১৬টি অষ্টধাতুর মূর্তি রয়েছে। যা বছরের পর বছর ধরে পূজিত হচ্ছে। হাজার হাজার ভক্ত মন্দিরে আসেন পুজো দিতে। সেই অষ্টধাতুর তৈরি ১৬টি মূর্তি রাতের অন্ধকারে চুরি যাওয়ায় হইচই পড়ে যায়।
বোঝা যাচ্ছিল না কারা এই চুরির পিছনে রয়েছে। তদন্তও শুরু হয়। কিন্তু তাতে মূর্তি উদ্ধার হয়নি। গত ১৪ মে মন্দিরের পুরোহিত মহন্ত রামবালক তাঁর বাড়ির সামনে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। বস্তা খুলতে দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে চুরি যাওয়া ১৬টি মূর্তির মধ্যে ১৪টি মূর্তি। মূর্তিগুলির সঙ্গে একটি চিঠিও রাখা ছিল।
পুরোহিত সেই চিঠি পড়ে কার্যতই চমকে যান। চোরেরাই ওই চিঠি দিয়েছিল। যাতে চোরেরা জানায়, যে চুরি করার পর থেকে তারা রাতে ঘুমোতে পারছিলনা। ঘুমোতে গেলেই ভয়ার্ত সব স্বপ্ন দেখছিল তারা। ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল। রাতের পর রাত জেগে কাটাতে হচ্ছিল তাদের।
উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার তারাউনা এলাকার বালাজি মন্দির বিখ্যাত। সেখানেই ছিল ১৬টি অষ্টধাতুর মূর্তি। তার মধ্যে ১৪টি চোরেরা ভয়ে ফেলে রেখে যায়।
চিঠিতে তাদের সেই আতঙ্কের বিষয়টি স্পষ্ট। পরে সেই মূর্তি থানায় রাখা হয়। এদিকে অচেনা চোরদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহন্ত রামবালক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা