পায়ে, হাঁটুতে জোর না থাকলেও এই পাহাড়ি গুহায় পৌঁছনো এখন জলভাত
অনেক মানুষেরই পায়ের জোর কমে যায়। বিশেষত বয়স্কদের ক্ষেত্রে। তার জন্য অবশ্য আগামী দিনে দেশের এই বিখ্যাত পাহাড়ি গুহাগুলি ঘুরে দেখা আটকে থাকবেনা।
ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বই। বিশাল বিশাল অট্টালিকা আর আপাদমস্তক শহুরে জীবনের মাঝে এই শহরের পেটেই রয়েছে আস্ত জঙ্গলও। জঙ্গল পাহাড় ঘেরা ৮৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিশাল সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক রয়েছে।
এই ঘন জঙ্গলে রয়েছে বাঘ থেকে শুরু করে আরও নানা জন্তু। আবার এই জঙ্গলের মধ্যেই একাধিক পাহাড়ের কোলে রয়েছে ২ হাজার ৪০০ বছর পুরনো কানহেরি গুহা। যে গুহার আনাচেকানাচে লেপ্টে আছে ভগবান বুদ্ধের আদর্শ।
একের পর এক পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে রয়েছে গুহা। এগুলি এক সময় ছিল বৌদ্ধবিহার। যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা পড়াশোনা করতেন, ধ্যান করতেন এবং বসবাসও করতেন।
এই গুহা আজও এক অন্যতম দর্শনীয় স্থান। যেখানে পৌঁছতে কিছুটা পাহাড়ে চড়তে হয়। গুহাগুলিতে ঘুরতে গেলে শারীরিক দিক থেকে সক্ষম হওয়াও জরুরি। ফলে এখন সেখানে বয়স্ক মানুষজন যেতে পারেননা। পায়ে বাত বা শারীরিক শক্তি কম হলে তো নয়ই।
এঁদের জন্য আর মুম্বইয়ের বিখ্যাত কানহেরি গুহাগুলি দর্শন করা অসম্ভব থাকবে না। এজন্য উদ্যোগ শুরু হয়ে গেল। তৈরি হচ্ছে একটি ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার।
এই সেন্টারে একটি থ্রিডি ভার্চুয়াল ট্যুরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যা করছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। যেখানে বিভিন্ন পাহাড়ের গায়ে থাকা গুহাগুলিকে থ্রিডি প্রযুক্তির মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরা হবে।
এতে যিনি চাইবেন তিনিই এখানে কানহেরির গুহার ভার্চুয়াল ট্যুর করে ফেলতে পারবেন। তাও বিন্দুমাত্র পরিশ্রম ছাড়াই। জানতে পারবেন গুহাগুলি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্যও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা