National

কুয়োর দেওয়াল বেয়ে নিচে নামা এ গ্রামের মহিলাদের প্রতিদিনের বাধ্যতা

প্রতিটি দিন তাঁরা একবার করে জীবনের ঝুঁকি নেন। হাত ফস্কালে শেষে প্রাণ যেতে পারে। তবু এটাই তাঁদের বাধ্যতা। এটাই তাঁদের দৈনন্দিন রুটিন।

এ গ্রামে সূর্য উঠে নতুন ভোর প্রতিদিন গ্রামের মহিলাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ বয়ে আনে। এটা এখন তাঁদের প্রতিদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গ্রামেই রয়েছে একটি কুয়ো। যার জল গেছে প্রায় শুকিয়ে। গভীর কুয়োর কাছে প্রতিদিন হাজির হন গ্রামের যুবতী, তরুণী থেকে কিশোরী মেয়েরা। তারপর যা শুরু হয় তা অনেক জিমনাস্টকেও চমকে দিতে পারে। অনেক পর্বতারোহীকে হতবাক করে দিতে পারে।


কুয়োর দেওয়াল বেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামতে শুরু করেন তাঁরা। যাঁরা নেহাতই অপারগ বা বয়স্কা, তাঁরা ওপরে থাকেন কপিকলের দড়ি ধরে।

কুয়োয় নেমে কুয়োর একদম তলদেশে থাকা সামান্য জল তাঁরা ভরতে শুরু করেন বালতিতে। তারপর সেই বালতি কপিকলে করে ওপরে উঠে যায়।


ফের অন্য বালতি নেমে আসে। শুরু হয় তাতে জল ভরা। এভাবেই চরম জলাভাবের সামান্য সমাধানের জন্য প্রতিদিন জীবন বাজি রেখে এই মহিলারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

মধ্যপ্রদেশের ঘুসিয়া গ্রামের মহিলাদের এভাবেই প্রতিদিন সংসারের প্রয়োজনীয় জল সংগ্রহ করতে হয়। প্রতিদিন অনেকটা মাকড়সার মত তাঁরা কুয়োর দেওয়াল বেয়ে নিচে নামেন। আবার জল ভরে ওপরে উঠে আসেন।

যে কোনও মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। তবু জীবনে বেঁচে থাকার জন্য জীবনের ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া তাঁদের আর কোনও রাস্তা খোলা নেই। এসব দেখেও প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক নেতা, কারও হুঁশ ফেরে না। এটাই স্থানীয় মানুষের সবচেয়ে বড় ক্ষোভ।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button