National

চাকরি নিয়ে ক্ষোভ, স্বেচ্ছা মৃত্যু চেয়ে আবেদন প্রৌঢ়ের

স্বেচ্ছা মৃত্যু চেয়ে আবেদন জানালেন এক প্রৌঢ়। চাকরি নিয়ে মনে জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

পিডব্লিউডি-তে ক্যাজুয়াল কর্মী হিসাবেই সারাজীবন কাজ করেছেন তিনি। যা তাঁর নাপছন্দ ছিল। ক্যাজুয়াল কেন? কেন এতদিন ধরে চাকরি করার পরও তাঁকে স্থায়ী করা হবে না তা জানতে চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদনও করেন তিনি।

উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে আশ্বাসও দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন ওই প্রৌঢ়। কিন্তু আশ্বাসই সার। যতবার তিনি আবেদন জানাতেন, দেখা করতেন উর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে, তাঁরা আশ্বাস দিয়ে ছেড়ে দিতেন।


৫৯ বছরে পৌঁছেও তাঁর ক্যাজুয়াল তকমা ঘোচেনি। এখন আর এক বছর বাকি। তারপরই তাঁকে আর স্থায়ী করার প্রশ্নই উঠবে না।

অসমের নগাঁও জেলার বাসিন্দা দুলাল বোরা পিডব্লিউডি-তে ক্যাজুয়াল কর্মী হিসাবে কর্মরত। তিনি এখন উর্ধ্বতন আধিকারিকদের ফাঁকা আশ্বাসে এতটাই ক্ষুব্ধ যে তিনি আর বেঁচে থাকতেই রাজি নন। আর সেজন্য স্বেচ্ছা মৃত্যু চেয়েছেন তিনি।


দেশের রাষ্ট্রপতি, অসমের রাজ্যপাল, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং গুয়াহাটি হাইকোর্টের কাছে এই স্বেচ্ছা মৃত্যু বা ইউথানেসিয়া-র আবেদন জানিয়েছেন দুলালবাবু।

প্রসঙ্গত ভারতে ২০১৮ সাল থেকে স্বেচ্ছা মৃত্যু মান্যতা পেয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে যেসব রোগীর বাঁচার কোনও আশা নেই, অথচ চরম যন্ত্রণা সহ্য করছেন, চিকিৎসকেরাও নিশ্চিত যে তাঁর সুস্থ হওয়ার আর সম্ভাবনা নেই, তেমন রোগীকে স্বেচ্ছা মৃত্যুতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনুমতি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর যাতে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু হয় সেদিকে নজর রাখেন চিকিৎসকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button