৭ বছর পর কথা বলবে ছেলে, ভাবতেও পারেনি পরিবার
মাঝে কেটে গেছে ৭টা বছর। ১৩ বছরের ছেলেটা কথা বলেনি। কথা বলতে পারেনি। অবশেষে সে কথা বলল। যাকে চমৎকার হিসাবেই নিচ্ছেন সকলে।
১০ বছর আগের কথা। তখন সে ৩ বছরের শিশু। মাথায় একটা বড় ধরনের আঘাত পায় সে। জীবন বাঁচাতে ছোট্ট ছেলেটাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়।
দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনেই ছিল সে। সেই সময় তার শ্বাসনালী অনেকটাই শুকিয়ে সরু হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে তার গলার স্বরে। ৭ বছর আগে সে কথা বলার ক্ষমতা হারায়।
এমনকি শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য তার ঘাড়ের কাছে ফুটো করে সেখান দিয়ে নল ঢোকানো হয় শ্বাসনালী পর্যন্ত। যাকে চিকিৎসকেরা ট্র্যাকিওস্টমি বলে থাকেন।
কিন্তু তাতে কথা ফেরেনি। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন আর হয়তো তার গলার স্বর কখনও শোনা যাবেনা। কিন্তু এ পৃথিবীতে চমৎকার তো কত কিছুই হয়।
সম্প্রতি দিল্লির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক মণীশ মুঞ্জাল ওই কিশোরের অপারেশন করবেন বলে স্থির করেন। যদিও এই অপারেশন ছিল যথেষ্ট ঝুঁকির। তবে সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই অপারেশনে করেন তিনি। আর তাতেই হয় চমৎকার। হারানো স্বর ফিরে পায় কিশোর।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ওই কিশোরের শ্বাসনালীর কিছুটা অংশ ছিলনা। সে নিজে না নিঃশ্বাস নিয়ে পারত, না খেতে পারত।
এদিকে অপারেশন করতে গেলে মৃত্যুরও সম্ভাবনা ছিল। তবে সব জল্পনার অবসান হয়েছে। সাড়ে ৬ ঘণ্টার অপারেশন শেষে তার গলার স্বর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। একে এক চমৎকার হিসাবেই দেখছে কিশোরের পরিবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা