গাছ, কুকুর বা ভূতের সঙ্গে বিয়েতে আপত্তি নেই, যত আপত্তি নিজেকে বিয়েতে, প্রশ্ন বিন্দুর
তিনি নিজেকে বিয়ে করতে চান। এটাই তাঁর ইচ্ছে। কিন্তু সে খবর চাউর হতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আর সেখানেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিন্দু।
তিনি নিজেকে বিয়ে করতে চান। হিন্দু রীতি মেনে মন্দিরে বিয়ে করার জন্য তৈরিও তিনি। আর কদিন পরই নিজেকে বিয়ে করার কথা ক্ষমা বিন্দুর। তারপর নিজের সঙ্গে হানিমুন করতে গোয়া যাওয়ার কথা।
একথা প্রচারের আলোয় আসার পরই গুজরাটের ভদোদরার ২৪ বছর বয়সী তরুণী ক্ষমা বিন্দু-র জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল সাইটে কটাক্ষের ঝড় বইছে। হিন্দু রীতি বিরুদ্ধ বলেও সোচ্চার অনেকে।
এমনকি ভদোদরার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র সুনিতা শুক্লা তো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে মন্দির যদি এই বিয়ে দেয় তাহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে। মন্দিরের অছি পরিষদের সঙ্গে কথা বলে এমন বিয়ে বন্ধ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সুনিতার দাবি, বৈদিক শাস্ত্রীয় গ্রন্থ ও হিন্দু শাস্ত্রীয় গ্রন্থ মতে বিয়ে হয় সামাজিক রীতি মেনে। ক্ষমা বিন্দু মানসিকভাবে অসুস্থ বলেও দাবি করেছেন শুক্লা। ক্ষমার সিদ্ধান্ত সমাজের অবক্ষয়ের কারণ হবে বলেও দাবি করেছেন সুনিতা।
এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ক্ষমা বিন্দু। তাঁর দাবি, তিনি স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত ভাইরাল হয়ে যায়। এখন তাঁর বাড়িতে সারাক্ষণ রিপোর্টারের আনাগোনা শুরু হয়েছে। তাঁকে হুমকি দিয়ে ফোনও আসছে। তিনি ভীত।
পাশাপাশি ক্ষমার প্রশ্ন, যে দেশে গাছের সঙ্গে মানুষের বিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে কুকুরের সঙ্গে মানুষের বিয়ে দেওয়া হয়, এমনকি যেখানে ভূত প্রেতাত্মার সঙ্গেও মানুষের বিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে কেবল নিজেকে কেউ বিয়ে করতে চাইলেই দোষ!
ক্ষমা বিন্দু মেনে নিয়েছেন তিনি উভকামী। তাঁর প্রশ্ন, তিনি যদি একটু অন্য ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তবে তা কেন তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা