রক্ষা পেল প্রাণটা, খাটিয়া চড়ে বেঁচে ফিরল লেপার্ড
তার ভয়ে সর্বদা তটস্থ থাকেন মানুষজন। যখন তখন লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে। সেই লেপার্ড এবার খাটিয়ায় চড়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরল।
অন্যান্য দিনের মতই কাটছিল গ্রামের মানুষের জীবন। এমন সময় তাঁরা একটি গোঙানির আওয়াজ পান। মানুষের গোঙানি নয়। এ কোনও প্রাণির বাঁচার আর্তি। তবে আওয়াজটা আসছে ইকো হয়ে।
কোথা থেকে আসছে আওয়াজটা? গ্রামবাসীরা অবাক হয়ে আওয়াজ লক্ষ্য করে এগোতে থাকেন। কিছুটা এগিয়ে সকলে বুঝতে পারেন আওয়াজ আসছে গ্রামের বিশাল এক কুয়োর মধ্যে থেকে।
কুয়োর জলে নজর পড়তেই চমকে যান সকলে। সেখানে নিজেকে ভাসিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে এক লেপার্ড। তবে ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। যেভাবে হোক জলে ডোবা থেকে বাঁচতে চাইছে সে।
গ্রামবাসীরা দ্রুত খবর দেন বন দফতরে। খবর যায় ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস নামে সংস্থার কাছেও। বন দফতরের কর্মীরা দ্রুত সেখানে হাজির হন। কিন্তু ৪৫ ফুট গভীর কুয়ো থেকে এক পূর্ণ বয়স্ক লেপার্ডকে তুলে আনা যাবে কীভাবে তাই কারও মাথায় আসছিলনা।
অবশেষে গ্রামবাসী এবং বন দফতরের কর্মীরা মিলে একটা রাস্তা বার করেন। একটি খাটিয়ার চারধার লম্বা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। তারপর চারদিক থেকে দড়ি ধরে খাটিয়াটা নামিয়ে দেওয়া হয় কুয়োয়। যাতে লেপার্ডটি খাটিয়ায় চড়ে যেতে পারে। আর একবার চড়ে গেলে খাটিয়া চারধারের দড়ি ধরে উপরে তুলে নেওয়া যাবে।
এরমধ্যেই আবার হাজির হন ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস-এর কর্মীরা। তাঁরা সঙ্গে আনেন এক বিশেষ ধরনের খাঁচা। এদিকে খাটিয়ায় চড়লে যে তার প্রাণ বাঁচতে পারে তা বুঝতে সময় নেয়নি লেপার্ডটি।
জল থেকে খাটিয়ায় চড়ে প্রাণ বাঁচায় সে। তারপর তাকে ওই বিশেষ খাঁচায় পুরে নিয়ে যাওয়া হয় পশু চিকিৎসকের কাছে। ঘটনাটি ঘটেছে পুনের কাছে বেলে গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা