National

কাগজের খাবার প্লেটে জয়েন্টের প্রশ্নপত্র, এ কীভাবে সম্ভব

কাগজের প্লেটে খাবার খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেখানে কত কিছুই তো দেখা যায়। তাবলে জয়েন্টের প্রশ্নপত্র! যা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।

ট্রেনে খাবার খাওয়ার জন্য কাগজের প্লেটের তুলনা নেই। খাওদাও তারপর তা মুড়িয়ে ফেলে দাও। এতে খাবারটাও খাওয়া হয়ে যায় আর থালা সঙ্গে রাখার ঝামেলাও থাকেনা।

রাস্তায় কেউ ঝালমুড়ি খেতে গেলে দেখেন খবরের কাগজের ঠোঙায় তা দেওয়া হয়। কেউ খাবার কিনে বাড়িতে এনে খাবার হলে অনেক সময় তরকারি, ভাত বা রুটি দেওয়া হয় বিস্কুটের ব়্যাপারকে প্যাকেট বানিয়ে তাতে।


আবার আলু চাট বা টিকিয়া ইত্যাদি খেতে গেলে দেওয়া হয় কাগজের প্লেট। ট্রেনে চড়ে এভাবে খেতে গিয়ে এক ব্যক্তির হাতে এসে পড়ে যে কাগজের প্লেট তার ওপর নজর যেতেই তাঁর চোখ কপালে ওঠে।

দেখা যায় প্লেটটি তৈরি হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন-এর প্রশ্নপত্র দিয়ে। যা দ্রুত ট্যুইটারে ভাইরাল হয়ে যায়। রাজস্থানের কোটাকে বলা হয় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের শহর। এখানে এমন অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে যেখানে পড়তে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা হাজির হন। সেখান থেকে পড়লে জয়েন্ট পাশ করা সহজ বলে কথিত।


জয়েন্টের মত এমন এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র একটা কাগজের খাবার প্লেটে পাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। এতে অনেকই হতবাকও হয়েছেন।

জয়েন্টের প্রশ্নপত্র তো খবরের কাগজ নয় যে কেউ বিক্রি করে দিলেন। তা থেকে ঠোঙা তৈরি হল। বিস্কুটের প্যাকেটও নয়। স্বচ্ছ পলিথিনের পাউচও নয়। জয়েন্টের প্রশ্ন এভাবে কাগজের প্লেটে পাওয়া যাওয়াটা নিয়ে অনেকেই হাসিঠাট্টাও করেছেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button