সুন্দরী তরুণীর সঙ্গে পার্কে দেখা করতে গিয়ে জালে জড়ালেন মুরগি বিক্রেতা
এক তরুণী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। সেই ডাক আর সামলাতে পারেননি পেশায় এক মুরগি বিক্রেতা। হাজির হন পার্কে। বাকিটা ইতিহাস।
ফোনটা এসেছিল কয়েকদিন আগে। ফোনের ওপারে থাকা অচেনা নারীকণ্ঠ কিন্তু রং নাম্বার বলে রেখে দেননি। বরং তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কথা বলতে ভাল লেগেছিল পেশায় মুরগি বিক্রেতা প্রীতমের। এরপর মাঝেমধ্যেই ওই তরুণীর ফোন আসতে শুরু করে।
২ জনের মধ্যে ক্রমশ আলাপ জমে ওঠে। ফোনেই চলতে থাকে নানা প্রাণের কথা। তারপর একদিন প্রীতমের ইচ্ছা পূরণ হল। ওই তরুণী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন।
ঠিক হল স্থানীয় একটি পার্কে দেখা হবে দুজনের। সেইমত দেরি না করে ফোনে স্থির হওয়া সময়ে সেই পার্কে হাজির হলেন প্রীতম কুমার।
পার্কে হাজির হয়ে সুন্দরী এক তরুণীকে চারধারে খুঁজতে লাগলেন তিনি। কিন্তু কোনও তরুণী নন, বরং তাঁর সামনে হাজির হন ৪ যুবক।
তারপর তাঁকে বন্দুকের নলের ওপর অপহরণ করা হয় সেখান থেকে। অপহরণ করে প্রীতম কুমারকে নিয়ে যাওয়া হয় বিহারের পাটনার জগনপুরা নামে একটি জায়গায়। সেখানে তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার হয়।
এদিকে পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রীতমের নিরুদ্দেশ হওয়া নিয়ে। পুলিশ প্রীতমের ফোন অনুসরণ করে জগনপুরায় পৌঁছে যায়।
কিন্তু পুলিশ আসছে সেকথা হয়তো আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিল ৪ অপহরণকারী। তারা সেখান থেকে আগেই চম্পট দেয়। পুলিশ গত মঙ্গলবার প্রীতমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ জানতে পারে, প্রীতম কুমার ওই ৪ যুবককে পরিবহণ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। প্রায়দিন যোগাযোগও রাখতেন তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু চাকরি প্রীতম দিতে পারেনি।
চাকরি না পেয়ে ওই ৪ জন টাকা ফেরত চান। কিন্তু তাও ফেরত দেননি প্রীতম। অগত্যা এক তরুণীকে দিয়ে ফোন করিয়ে তাঁরাই প্রীতমের সঙ্গে তরুণীর ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন। তারপর তাঁকে পার্কে ডেকে পাঠান। সেখান থেকে অপহরণ করে তাঁকে পণবন্দি করেন। পাটনার সচিবালয় থানার পুলিশ ওই ৪ অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা