ক্ষমতায় আসার পরই যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়ে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশকে একটি ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। সরকারের প্রথম বাজেটে ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে বড় গর্ব তাজমহলের সংস্কারে একটি কানাকড়িও বরাদ্দ করা হয়নি। অনেকেই সেই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিলেন। অনেকে বলেছিলেন তাজমহলের তো কোনও ধর্ম হয়না। এত এক চমকে দেওয়া শিল্পকলা। যা একবার চোখের দেখা দেখতে গোটা বিশ্ব থেকে মানুষ ছুটে আসেন আগ্রায়।
যদিও এসব যুক্তির বন্যা যোগীর দৃঢ় মনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং তিনি নির্দেশ দিয়েছেন মথুরায় একটি কৃষ্ণল্যান্ড তৈরির ব্লুপ্রিন্ট চূড়ান্ত করতে। যা অনেকটা ডিজনিল্যান্ডের আদলে তৈরি হবে। থাকবে কৃষ্ণের জীবনের নানা অধ্যায়। একেবারে কারাগার থেকে শুরু হবে কৃষ্ণের কথা। যমুনাকে বোঝাতে একটি কৃত্রিম নদীও তৈরি করা হবে। এটি তৈরিতে বিস্তর অর্থ ব্যয় হবে। যা দেবে বিশ্বব্যাঙ্ক। উত্তরপ্রদেশ পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ করা হবে এটিকে।