প্রেম করে বিয়ে করতে গেলে বাবামায়ের সই বাধ্যতামূলক করার দাবি উঠল
প্রেম করে বিয়েতে অনেকক্ষেত্রেই প্রেমিক প্রেমিকা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন। সেই রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে গেলে বাবামায়ের সই বাধ্যতামূলক করার দাবি উঠল।
ভারতীয় সমাজে এখনও প্রেম করে বিয়ে করাকে স্বাভাবিক চোখে নেওয়া হয়না। বাড়ির ছেলে বা মেয়ে প্রেম করলে অনেক সময় পরিবারের কড়া শাসন, প্রতিবাদ, জোর করে সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টার মুখে পড়তে হয়।
অনেক সময় মেয়ের বাড়ি দেখা যায় রাজি নয়, অনেক সময় ছেলের বাড়ি কিছুতেই এই সম্পর্ক মেনে নেয় না। তাই একসঙ্গে জীবন কাটাতে প্রেমিক প্রেমিকা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন।
সেখানে যে সাক্ষ্যের প্রয়োজন পড়ে তা অনেক সময় তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী বা বন্ধুবান্ধবরা সই করে দেন। এখানেই এবার রাশ টানতে চাইছে পাতিদার সমাজ।
গুজরাটের পাতিদার সমাজের তরফে একদম আইন করে এই বিষয়ে লাগাম টানার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। মূলত তারা ২টি বিষয় নিয়ে সরকারের দ্বারস্থ হচ্ছে।
এক মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার দাবি তুলেছে তারা। তাদের মতে, মেয়েরা কিশোরী বয়সে নিজেদের ভালমন্দ বুঝতে পারেনা। তাদের তখন সহজেই প্রেমের জালে ভোলানো যায়। কিন্তু বয়স বাড়লে তারা ঠিক ভুল বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
পাতিদারদের দ্বিতীয় দাবি, অভিভাবকদের থেকে লুকিয়ে আর প্রেম বিবাহ করা যাবে না এমন আইন আনতে হবে। সেক্ষেত্রে বিবাহ আইনে পরিবর্তন চাইছে তারা।
তারা চাইছে আইন আনা হোক যে প্রেম করে বিয়ে করতে চাইলে সেক্ষেত্রেও ছেলে ও মেয়ের বাবামায়ের স্বাক্ষর লাগবে। বিশেষত মেয়ের ক্ষেত্রে তো বাবা এবং মা ২ জনের স্বাক্ষরই বাধ্যতামূলক করা হোক বলে দাবি তুলেছে পাতিদাররা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা