অগ্নিপথের আগুনে জ্বলছে ট্রেন, চরম ভোগান্তির শিকার মানুষ, সিদ্ধান্তে অনড় সরকার
সেনাবাহিনীতে যোগদানের নয়া সরকারি প্রকল্প অগ্নিপথ-এর বিরুদ্ধে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে বিক্ষোভ। বিহার, উত্তরপ্রদেশের পর এবার তেলেঙ্গানাতেও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ।
সেনাবাহিনীতে ২ বছর পর নিয়োগ হচ্ছে। এজন্য একটি নয়া প্রকল্প এনেছে কেন্দ্র। অফিসার পদমর্যাদার নিচে অগ্নিপথ নামে প্রকল্পের আওতায় এবার জওয়ান নিয়োগ হবে। সেই অগ্নিপথের নিয়োগের যে নিয়ম সরকার সাজিয়েছে তা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক যুব সমাজ মেনে নিতে পারছেনা।
তাদের দাবি এর মধ্যে দিয়ে তাদের কেরিয়ার শেষ করে দিতে চাইছে সরকার। তাদের সেনাবাহিনীতে কাজ করার স্বপ্নকে চুরমার করে দেওয়া হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
প্রতিবাদীরা গত ২ দিনে একের পর ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ হয়েছে। বাসে ভাংচুর হয়েছে। বিহারের মহিউদ্দিননগরে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতে একটি ট্রেনেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তেলেঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে রেলস্টেশনে লাইনে বসে রেল অবরোধ শুরু করেন প্রতিবাদীরা।
পুলিশ এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট বর্ষণ। পাল্টা পুলিশ রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে। এতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুও হয়। এছাড়া বিভিন্ন রাস্তায় পথ অবরোধ। টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, ভাঙচুর চলছে গত ২ দিন ধরেই।
অগ্নিপথের প্রভাব পড়েছে হরিয়ানাতেও। সেখানেও উত্তাল পরিস্থিতি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও এদিন অগ্নিপথের বিরুদ্ধে রেল অবরোধের ঘটনা ঘটে।
এদিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার পরও প্রকল্প থেকে সরতে রাজি নয় কেন্দ্র। কেবল বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করেছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবারই অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অগ্নিপথ সেনাবাহিনীতে নিয়োগের একটি নতুন প্রকল্প। যাতে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সীরা আবেদন করতে পারবেন।
যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় পাশ করলে যাঁদের নিয়োগ করা হবে তাঁদের চাকরির আয়ু হবে মূলত ৪ বছর। ৪ বছর পর তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশের মত জওয়ান সেনাবাহিনীতে ১৫ বছরের নিয়োগ হবে। বাকিদের আর সেনায় কাজ থাকবে না। এভাবে ৪ বছর পর বার করে দেওয়ার এই নয়া নীতিতে আপত্তি চাকরি প্রার্থীদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা