National

পুলিশ নির্বিকার, মেধাবী ছাত্রীর পড়া মাঝপথে বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে পরিবার

এমন ঘটনা দেশের বহু অভিভাবকের জন্যই চিন্তার। সন্তানের ভালর জন্য অনেক সময় এমন পদক্ষেপ নিতে কার্যত বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ।

মেধাবী ছাত্রী হিসাবে ওই তরুণীর যথেষ্ট সুনাম আছে। উজ্জ্বল এক ভবিষ্যৎ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। নামী কলেজে পড়ার সুযোগও হয়েছে তাঁর মেধার জোড়েই।

বরাবর ভাল রেজাল্ট করা মেয়েটির কিন্তু কলেজের মাঝপথেই বন্ধ হতে চলেছে পড়াশোনা। অভিভাবকরাই তাঁর পড়াশোনা বন্ধ করতে চাইছেন।


বিয়ে দেওয়া হবে বলে মেয়েকে পড়াবেন না, এমন কিছুই কিন্তু নয়। বরং পরিবার এখনও চায় তাঁদের মেয়ে পড়াশোনায় ভাল করুন। জীবনে উন্নতি করুন। কিন্তু কিছু পরিস্থিতি সেই পথে বাধা তৈরি করেছে। যেমনটা হয়েছে দিল্লির নামী কলেজের ওই ছাত্রীর সঙ্গে।

ওই ছাত্রীর সঙ্গে অভিষেক রাঠোর নামে এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ক্রমে তরুণী অভিষেকের জীবনের অন্ধকার দিকগুলো সম্বন্ধে জানতে পারেন। তখনই সে সম্পর্কে ইতি টেনে দেন। আর সেখানেই শুরু অশান্তি।


তরুণীর পরিবারের দাবি, অভিষেক এরপর ওই তরুণীর নানা ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করতে থাকে। যা সকলের সামনে আসায় চরম অস্বস্তির শিকার হতে থাকেন তরুণী ও তাঁর পরিবার।

এভাবে তাঁদের বাড়ির মেয়েকে অসম্মান করতে থাকায় পরিবারের তরফে দিল্লির পশ্চিম বিহার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কমিশনারের অফিসেও বিষয়টি জনিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়।

কিন্তু পরিবারের অভিযোগ পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে থাকে। আর অভিষেক এভাবেই তাঁদের মেয়ের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে তাঁকে মানসিকভাবে অত্যাচার করে যায়।

পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলেই দাবি তরুণীর বাবার। তাঁর দাবি, অভিষেকও জানিয়েছে পুলিশ তার কিছু করতে পারবেনা। এভাবে মেয়ের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ওই দিশেহারা পিতা। এসব থেকে দূরে রাখতে তিনি মেয়ের পড়াশোনায় ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button