বয়ে আনলেন কয়েক বস্তা ১০ টাকার কয়েন, বাড়ি ফিরলেন ৬ লক্ষ টাকার গাড়িতে
তিনি কয়েক বস্তা ১০ টাকার কয়েন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। তারপর যা হল তা এখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। কার্যত কাহিনিতে পরিণত হয়েছে বাকিটা।
এক ছোট শহরে ততোধিক ছোট একটি দোকান চালান তাঁর মা। সে দোকানে কেনাকাটার পর ফেরত হিসাবে ১০ টাকার কয়েন দিতে চাইলে কিন্তু গ্রাহকরা সরাসরি না করে দেন। ওই শহরে ১০ টাকার কয়েন কেউ নিতে চান না। ফলে বাড়িতে ১০ টাকার কয়েনের ভিড় জমেছিল।
যা পড়ে থাকার পর বাড়ির ছোটরা তা নিয়ে খেলাও শুরু করেছিল। যেন ওই কয়েনগুলির কোনও মূল্য নেই! এটা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি ছেলে ভেটরিভেল।
মায়ের দোকান থেকে আসা কয়েন নিয়ে তিনি হাজির হন স্থানীয় ব্যাঙ্কে। সেখানে ব্যাঙ্ককর্মীদের কথা শুনে কার্যত অবাক হয়ে যান তিনি।
ভেটরিভেল বুঝতে পারেন যে তাঁকে ইচ্ছে করেই এড়িয়ে যাচ্ছেন ব্যাঙ্কের কর্মীরা। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তো ১০ টাকার কয়েন বাতিল করেনি। তাহলে ব্যাঙ্ক কেন নেবে না? ব্যাঙ্ক যুক্তি দেখায় তাদের অত কয়েন গোনার মত ব্যবস্থা নেই।
ব্যাঙ্কও নিচ্ছে না দেখে তামিলনাড়ুর ধর্মপুরীর বাসিন্দা ভেটরিভেল সোজা হাজির হন একটি গাড়ির শোরুমে। তবে খালি হাতে নয়। সঙ্গে নিয়ে যান কয়েক বস্তা ১০ টাকার কয়েন। সব বস্তা মিলিয়ে ৬০ হাজার ১০ টাকার কয়েন তিনি গুনে গুনে নিয়ে হাজির হন দোকানে।
তারপর একটি ৬ লক্ষ টাকার গাড়ি পছন্দ করেন। শোরুমের কর্মীদের তিনি জানান এখনই ওই গাড়ি তিনি কিনবেন। তবে ১০ টাকার কয়েনে। এটা শুনে প্রাথমিকভাবে না করে দেয় শোরুমও।
ভেটরিভেল এরপর তাদের বোঝান যে এভাবে ১০ টাকার কয়েনকে না বলা যায়না। তিনি বেআইনি কোনও মুদ্রা দিচ্ছেন না। বেশ কিছুটা তর্কবিতর্কের পর অবশেষে শোরুম রাজি হয় ওই কয়েন নিতে।
শোরুমের তরফে কয়েন গোনা হয়। তারপর যখন তারা নিশ্চিত হয় যে সেখানে ১০ টাকার কয়েনে ৬ লক্ষ টাকাই রয়েছে তখন গাড়ির চাবি ভেটরিভেলের হাতে তুলে দেয় তারা। ১০ টাকার কয়েন দিয়ে ৬ লক্ষ টাকার গাড়ি কিনে বাড়ি ফেরেন ভেটরিভেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা