কে এই দ্রৌপদী মুর্মু, যশবন্ত সিনহার ইতিহাসই বা কি, ২ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর ইতিবৃত্ত
বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। অন্যদিকে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। কে এই দ্রৌপদী মুর্মু? কেই বা যশবন্ত সিনহা? একবার ফিরে দেখার চেষ্টা।
দ্রৌপদী মুর্মু ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাজ্যপালের রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৫ সালে তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হন। তবে রাজনীতির ময়দানে তিনি পা দেন অনেক আগে। বিজেপি কর্মী হিসাবে শুরু করেন রাজনৈতিক জীবন।
এই সাঁওতাল রমণী ২ বার ওড়িশা থেকে বিজেপি বিধায়ক হন। ওড়িশায় বিজেডি ও বিজেপি জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন মন্ত্রীও হন। একাধারে পরিবহণ, পশু কল্যাণ, মৎস্য এবং বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রিত্ব সামলেছেন তিনি।
ভুবনেশ্বরের রমাদেবী কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক হওয়ার পর থেকেই রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথমে কাউন্সিলর হন। তারপর বিধায়ক হন। বর্তমানে ৬৪ বছরের দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী বিজেপি।
অন্যদিকে অনেক বৈঠক, আলাপ আলোচনার পর অবশেষে মঙ্গলবার তাদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বেছে নিয়েছে বিরোধী জোট। বিরোধী জোটের প্রার্থী হচ্ছেন যশবন্ত সিনহা।
প্রাক্তন আইএএস যশবন্ত সিনহা বিজেপি সরকারে অর্থমন্ত্রীও ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি বিজেপি ছাড়েন। পরে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
মঙ্গলবার সকালেই যশবন্ত সিনহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দেন। তখনই রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। তিনি এও জানান যে, দেশের স্বার্থে তিনি বৃহত্তর বিরোধী জোট তৈরি করতে কাজ করবেন। এ থেকে পরিস্কার হয়ে গেলেও পরে বিরোধীদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় সব পরিস্কার হয়ে যায়। যশবন্ত সিনহাই হন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী।