দেশের অস্ত্রাগারে যোগ হতে চলেছে নতুন পালক, সমুদ্রে পরীক্ষা সফল
দেশের অস্ত্রাগারে নতুন এক পালক যোগ হতে চলেছে। যা দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। নয়া অস্ত্রের সফল পরীক্ষা হল সমুদ্রে।
সমুদ্রের বুকে ভেসে থাকা যুদ্ধজাহাজের জন্যই বিশেষভাবে এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। যুদ্ধজাহাজ থেকেই এই অস্ত্র ছোঁড়া যেতে পারে। কিন্তু সেই অস্ত্র কি সত্যিই তার কাজ করতে সক্ষম? তার পরীক্ষা হল শুক্রবার।
ওড়িশা উপকূলের কাছে চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে এই অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়। এটি একটি স্বল্প পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র অর্থাৎ সারফেস টু এয়ার মিসাইল। যা একান্তই ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি উড়তে থাকা কোনও অতি গতিশীল বস্তুতে সঠিক আঘাত হানতে পারে।
এদিন একটি নকল গতিশীল বিমানকে টার্গেট করা হয়। যে টার্গেটে একদম সঠিকভাবে গিয়ে আঘাত হানে যুদ্ধজাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকেই এই সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে। স্বল্প পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল প্রয়োগের জন্য ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানান, এই সাফল্যের ফলে আকাশ পথে আসা কোনও হামলা রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শক্তি অনেকটাই এগিয়ে গেল।
ভারতের নৌবাহিনীর শক্তি যে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নিক্ষেপ পদ্ধতি ও ক্ষেপণাস্ত্রের সংযুক্তিতে আরও শক্তিশালী হবে তা মেনে নিচ্ছেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। তিনিও এই সাফল্যের জন্য ডিআরডিও বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা