এবিসিডি না পারায় ৪ বছরের শিশুকে বেত পেটা করলেন শিক্ষক
মাত্র ৪ বছর বয়স। তাকে পড়া ধরেছিলেন শিক্ষক। ৪ বছরের শিশুটি এবিসিডি ঠিক করে বলতে পারেনি। সেজন্য জুটল বেত পেটা। অবশ্য তারপর শিক্ষকেরও কিছু জুটেছে।
৪ বছর বয়সের ছোট্ট ছেলেটা বাড়ি ফেরার পর থেকেই অবসন্ন ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার জ্বর আসে। অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে।
অভিভাবকরা সন্তানের এমন অবস্থা দেখে আর ঝুঁকি নেননি। দ্রুত তাকে নিয়ে ছোটেন হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা শিশুটিকে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন তার পায়ে অনেকগুলো মারের দাগ। এভাবে তাকে কে মারল? বিষয়টি জিজ্ঞেস করায় শিশুটি সব খুলে বলে।
এক শিক্ষকের কাছে সে পড়ত। তার কাছে সেদিনও সে পড়তে গিয়েছিল। অত ছোট শিশুর অক্ষরজ্ঞান তৈরি করাই শিক্ষকের কাজ। নিখিল নামে ওই শিক্ষক তাকে এবিসিডি জিজ্ঞেস করে।
শিশুটি জানায়, সে ওই শিক্ষককে ঠিক করে ইংরাজি অক্ষরগুলি বলে উঠতে পারেনি। তাতেই ওই শিক্ষক রেগে যায়। তারপর না পারার জন্য তাকে বেত পেটা করে। তার পায়ে একের পর এক বেত্রাঘাত পড়ে। যে মারের জেরেই বাড়ি এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছোট্ট শিশুটি।
ওইটুকু শিশুকে পড়া পারা বা না পারার জন্য শাস্তি! হতবাক হয়ে যান চিকিৎসক থেকে অভিভাবক সকলেই। শিশুটির চিকিৎসার পর অভিভাবকরা হাজির হন স্থানীয় থানায়। সেখানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন।
এভাবে একটি শিশুকে মারধরের অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। নিখিল নামে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার কোচির কাছে পাল্লুরুথি নামে একটি জায়গায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা