হাতঘড়ি থেকে দেওয়ালঘড়ি সবই ঘোরে উল্টোদিকে, এভাবেই অভ্যস্ত মানুষ
হাতঘড়ি যদি উল্টোদিকে ঘোরে তাহলে তা দেখতে অসুবিধা হওয়ারই কথা। কিন্তু দেশের এই অঞ্চলের মানুষ উল্টোদিকে চলা ঘড়িতেই অভ্যস্ত। এটাই এখানকার রীতি।
ঘড়ি ঘোরে উল্টোদিকে। অর্থাৎ কাঁটাগুলো বাঁদিক থেকে ডানদিকে না গিয়ে ডানদিক থেকে বাঁদিকে যায়। সেভাবেই এখানে হাতঘড়ি থেকে দেওয়ালঘড়ি তৈরি হয়। দেশেই রয়েছে এমন এক অঞ্চল যেখানে উল্টোদিকে ঘোরে ঘড়ি।
ছত্তিসগড়ের উত্তরে কোরিয়া জেলায় গোণ্ড জনজাতির বসবাস। এখানকার অনেকগুলি গ্রামে তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রয়েছে। এখানে মানুষ হাতঘড়িও পড়েন। আবার ঘরের দেওয়ালে দেওয়ালঘড়িও লাগান। তবে সব ঘড়িই চলে উল্টো দিকে।
সাধারণ ঘড়িতে যেমন ১২টার পর ১টা আসে সেখানে এখানকার ঘড়িতে ১টার জায়গায় থাকে ১১টা। ২টোর জায়গায় ১০টা। তবে তার মানে এই নয় যে ১২টার পর ১১টা বাজে।
সাধারণ ঘড়িতে ১১টা যেখানে থাকে, এখানকার ঘড়িতে সেখানে থাকে ১টা। কাঁটা যেহেতু উল্টোদিকে ঘোরে তাই ১২টা থেকে কাঁটা ১টার দিকেই এগোয়। তবে সাধারণ ঘড়িতে মনে হবে তা ১১টার দিকে যাচ্ছে।
২০০৮ সালে এখানকার গোণ্ডয়ানা সমাজ এই উল্টো ঘড়ির সিদ্ধান্ত নেয়। সেজন্য এখানকার উল্টো ঘড়ি গোণ্ডয়ানা ঘড়ি নামেই পরিচিত।
এখানকার মানুষের ধারনা মহাবিশ্বের সব কিছুই ঘুরছে ডানদিক থেকে বাঁদিকে। বাঁদিক থেকে ডানদিকে কিছু ঘোরা অশুভ লক্ষ্মণ। তাই তাঁরা সারা পৃথিবীর মত বাঁদিক থেকে ডানদিকে চলা ঘড়ি ব্যবহার করেন না। বরং উল্টোদিকে চলা ঘড়ি ব্যবহার করেন।
তাঁদের মতে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তাঁরা প্রকৃতির অমোঘ নিয়মকেই মেনে চলছেন মাত্র। এই উল্টোদিকে চলা ঘড়িতে অবশ্য তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে কোনও সমস্যা হয়না।