ছাত্রছাত্রীদের মায়েদের ফোনে নোংরা মেসেজ, ভিডিও পাঠিয়ে সাসপেন্ড শিক্ষক
স্কুলের শিক্ষক বলে কথা। তার এমন কাণ্ড দেখে কার্যত হতবাক তার সহকর্মী থেকে গোটা এলাকা। অনেকের মতে ভয় দেখিয়ে এমন কাণ্ড করত ওই শিক্ষক।
স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের প্রয়োজনে যেতেই হয়। কথা বলতে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে। এই শিক্ষক আবার একটু বেশিই হাসিখুশি ছিল। মিশুকে বলতে যা বোঝায়। তবে মেশাটা পুরুষদের ক্ষেত্রে অতটা আগ্রহ সহকারে হতনা যতটা ছাত্রছাত্রীদের মায়েরা এলে হত।
ছাত্রছাত্রীদের মায়েরা স্কুলে কোনও জিজ্ঞাসা নিয়ে এলে ওই শিক্ষকই আগ বাড়িয়ে এগিয়ে যেত কথা বলতে। তারপর সুন্দর কথা বলে তাঁদের মোহিত করে ফেলত। মায়েদের কাছ থেকে তাঁদের ফোন নম্বরও চেয়ে নিত যোগাযোগ রাখার জন্য।
ছেলেমেয়ের স্কুলের শিক্ষক পড়াশোনা নিয়ে যোগাযোগ রাখতে চান দেখে মায়েরাও নির্দ্বিধায় ফোন নম্বর দিয়ে দিতেন। তারপরই শুরু হত অন্য কাণ্ড।
মায়েদের ফোনে ওই শিক্ষক নোংরা মেসেজ পাঠানো শুরু করত। সঙ্গে আসত নোংরা ভিডিও। আবার অনেক মাকে ফোন করে ওই শিক্ষক জানাত তাঁর সন্তানকে নিয়ে কথা বলার আছে। তার সঙ্গে দ্রুত দেখা করতে।
কিন্তু স্কুলে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মায়েরা বুঝতে পারতেন তাঁদের সন্তানকে নিয়ে কোনও কথা নেই। আসলে তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের কথা বলতেই শিক্ষক তাকে ডেকেছেন।
স্থানীয় ছেলেরা যাতে কোনও সমস্যা না করে সেজন্য তাদের মদ্যপানের ব্যবস্থা করত ওই শিক্ষক। আবার তার সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কের দারুণ খাতির বলে বাকিদের ভয়ও দেখাত।
অবশেষে পড়ুয়াদের মায়েদের ফোনে নোংরা মেসেজ ও ভিডিও আসার পর গ্রামের সকলে পুলিশে অভিযোগ করেন। শিক্ষা দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর কর্ণাটকের টুমকুর জেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এম সুরেশের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। তারপরই ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করে শিক্ষা দফতর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা