বিয়ের দিনে মৃত বাবাকে দেখে কেঁদে ভাসালেন মেয়ে, চোখে জল সকলের
বিয়ের দিন মৃত বাবাকে চোখের সামনে দেখে আর চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না মেয়ে। আনন্দে চুম্বনে ভরিয়ে দিলেন মৃত পিতাকে।
বিয়েটা সকলের কাছেই মনে রাখার মত একটা স্মৃতি। তবে এমন করেও যে বিয়ের স্মৃতি ধরে রাখা যায় তা বোধহয় না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না। গোটা বিয়েবাড়িটা একসঙ্গে কাঁদছে। কষ্ট, দুঃখ, আনন্দ সব সেই কান্নার জলে মিশে যায় সেদিন।
বোনের বিয়েতে ভাই তো উপহার দিয়েই থাকেন। ভাই কি উপহার তাঁর জন্য এনেছেন সেটাই দেখার একটা ঔৎসুক্য ছিল বোনেরও।
তাঁদের মা মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে বিয়ের পর এগিয়ে আসতেই সামনে যা দেখলেন তাতে সাময়িকভাবে সকলের হৃৎস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায়। সদ্যবিবাহিতা মেয়েটি দেখলেন সামনেই বসে আছেন তাঁদের মৃত পিতা। এটাই তাঁর বিয়েতে তাঁর ভাইয়ের উপহার।
বিশ্বজোড়া মারণ ব্যাধি গ্রাস করেছিল তাঁদের পিতাকেও। শ্বাসের সমস্যা শুরু হওয়ার পর খুব একটা সময় মেলেনি। তার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সব কিছু।
তারপর সময় কেটেছে। কিন্তু মনের গোপনে বাবার অভাবটা রয়েই গিয়েছিল। বিয়ের দিন সেই বাবার মোমের মূর্তিকে সামনে পেয়ে তাই আর কেউই নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি।
মৃত স্বামীকে এভাবে দেখে হতভম্ব ভাব প্রায় কাটতেই চাইছিল না তাঁদের মায়ের। মেয়ে তো কেঁদেই অস্থির। এই দৃশ্যে চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি বিয়েতে উপস্থিত আত্মীয়পরিজন থেকে বন্ধুবান্ধব কেউই। কর্ণাটকের এই ঘটনা অনেক সাধারণ মানুষের চোখও ভিজিয়ে দিয়েছে।