আস্থা ভোটে সায় সুপ্রিম কোর্টের, ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে
আস্থা ভোটের জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদন নাকচ হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে।
মহারাষ্ট্রে যে উদ্ধব ঠাকরের গদি টলমল করছে তা আন্দাজ করতে কারও অসুবিধা হচ্ছিল না। একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কেরা গুজরাট হয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন অসমে। সেখানে গুয়াহাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকার পর বুধবার আচমকাই তাঁরা পাড়ি দেন গোয়ার দিকে।
প্রসঙ্গত গুজরাট, অসম বা গোয়ায় বিজেপি সরকার রয়েছে। সেখানেই তারা তাদের বিধায়কদের আলাদা করে ফেলে। এরপর শুরু হয় আস্থা ভোটের তোড়জোড়।
একনাথ শিণ্ডে দাবি করেন তাঁরাই আসল শিবসেনা। হিসাবে দেখা যায় একনাথের সঙ্গে যত বিধায়ক রয়েছেন তার সঙ্গে বিজেপি বিধায়কেরা একজোট হলে উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রীত্বে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা মুশকিল।
এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার আস্থা ভোটের আয়োজন শুরু হয়। যেখানে নিজের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলা হয় উদ্ধব ঠাকরেকে। আস্থা ভোট বৃহস্পতিবারই না করে আর একটু সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন উদ্ধব।
কিন্তু বুধবার রাতের দিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় বৃহস্পতিবারই উদ্ধব সরকারকে তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। এই রায় আসার মিনিট খানেকের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে।
উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেওয়ার পর মহারাষ্ট্র বিজেপি শিবিরে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। শুরু হয় নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতিও।
এখন একটাই বড় প্রশ্ন সামনে আসছে। মহারাষ্ট্রে নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এদিকে একনাথ শিণ্ডে দাবি করেছেন তাঁর দিকে শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৪০ জন রয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা