ইঁদুর ধরতে আঠার ফাঁদে নিষেধাজ্ঞা জারি হল এক রাজ্যে
ইঁদুর ধরতে কাঠের কল অনেকেই দেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই ফাঁদ। হালে সে জায়গায় এসেছে আঠার ফাঁদ। সেখানেই এবার জারি হল নিষেধাজ্ঞা।
গৃহস্থের বাড়ি হোক বা দোকানপসার, ইঁদুরের উৎপাত শুরু হলে মুশকিল। ফলে তাদের বন্দি করার দরকার পড়ে। ইঁদুর ধরার আদি উপায় তো প্রায় সকলের জানা। কাঠের কল। যার ভিতরে লোহার শিকে রাখা থাকে খাবার।
সেই লোভে সেখানে ঢুকে খাবার খেতে গেলেই লোহার শিকে টান পড়ে। আর ঢাকনা বন্ধ হয়ে যায়। ইঁদুর যায় বাক্সের মধ্যে আটকে।
ইঁদুর ধরা পড়লে অধিকাংশ পরিবারই কলটি বাড়ি থেকে অনেক দূরে কোনও ভ্যাটে নিয়ে গিয়ে তার মাথা খুলে দেন। ইঁদুর লাফ দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। তবে বাড়ি থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সেখানে আর ফিরতে পারেনা।
কিন্তু সেই উপায়ের পাশাপাশি এখন আরও একটি উপায় প্রচলিত। যাকে বলা হয় গ্লু ট্র্যাপ বা আঠার ফাঁদ। চিটচিটে আঠার মত চৌকো এই গ্লু ট্র্যাপে ইঁদুর এসে পড়লেই তাতে আটকে যায়।
আর যত সেটা ছাড়িয়ে বার হওয়ার চেষ্টা করে ততই তার গায়ে এই আঠা জড়িয়ে যেতে থাকে। একটা সময় ওই আঠাতে আটকে থাকতে থাকতে মৃত্যু হয় ইঁদুরের।
এই গ্লু ট্র্যাপ এবার নিষিদ্ধ হল সিকিমে। সিকিমের পশু কল্যাণ দফতর সিকিমের বিভিন্ন জেলা শাসককে জানিয়ে দিয়েছে এই ধরনের গ্লু ট্র্যাপ তৈরি করা, বিক্রি করা বা ব্যবহার করা যেন কোনওভাবেই না হয় সেদিকে কঠোর নজর রাখতে।
এভাবে গ্লু ট্র্যাপ ব্যবহার করে ইঁদুর নিধন অত্যন্ত হিংস্র এবং বর্বর কাজ বলেই মনে করছে সরকার। এই গ্লু ট্র্যাপ যাতে বাজারে আর বিক্রি না হয় সেজন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা