পাশের বাড়ির মহিলার স্নানের ভিডিও তুলতে ছেলের সাহায্য নিল বাবা
এমন এক ঘৃণ্য কাজ শুধু নিজে করা নয়, সে কাজে নিজের ছেলেকে পর্যন্ত যুক্ত করল বাবা। সেই ভিডিও মহিলাকে দেখিয়ে অন্য কাজও শুরু করেছিল ২ জনে।
পাশের বাড়ির মহিলা সকালে কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাঁরা স্বামী যাতে ঠিকমত অফিস যেতে পারেন সে দিকটা তিনি একা হাতে সামলান। তারপর স্বামী অফিস বেরিয়ে গেলে একটু বিশ্রাম নিয়ে তিনি যান স্নান করতে। এটাই তাঁর প্রাত্যহিক রুটিন।
কিন্তু তিনি জানতেনও না তাঁর সেই বাথরুমে স্নানের ব্যক্তিগত মুহুর্ত দেখতে পাওয়া যায় পাশের বাড়ি থেকে। যা ওই বাড়িতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি গোপনে নজর করত।
শুধু পাশের বাড়ির মহিলার স্নানই দেখত না, ছেলেকে সঙ্গে করে সেই স্নানের মুহুর্তের ভিডিও করে সে। তারপর এক সময় ওই মহিলাকে তাঁর স্নানের সেই ভিডিও দেখায়।
বাবা ও ছেলে ওই ভিডিও দেখিয়ে মহিলাকে এও জানায় যে তাদের কথামত অর্থ না দিলে ওই ভিডিও তারা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন। এমনকি ওই মহিলার অভিযোগ ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে শারীরিক দিক থেকেও দিনের পর দিন বাবা ও ছেলে অন্যায় স্পর্শে অপমান করে গেছে।
এমনভাবে ২ বছর সবকিছু দাঁত কামড়ে সহ্য করার পর অবশেষে আর না পেরে ওই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ওই মহিলার অভিযোগক্রমে তদন্তে নামে।
কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা গোবিন্দ রাজু এবং তার ছেলে প্রমোদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মাইসুরুতেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা