অদ্ভুত ঘটনা বললেও কম বলা হয়। স্বামীর কাটা পুরুষাঙ্গ নির্বিকারভাবে নিজের ভ্যানিটি ব্যাগে পুরে বাসে চড়েছিলেন এক মহিলা। গন্তব্য ছিল ভেলোরের কাছে গুডিয়াপ্পমে তাঁর বাপের বাড়ি। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ব্যাগে পুরুষাঙ্গ সমেত পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন স্ত্রী। চমকে দেওয়ার মত ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় জগদীশান ও সারাসু-র। সব ঠিকঠাক চলছিল। তাঁদের ৪ সন্তান। কিন্তু শেষ কয়েকমাস ডিভোর্স না হলেও স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকছিলেন। গত বুধবার ছিল তাঁদের বড় ছেলের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে স্বামী জগদীশানের সঙ্গে দেখা হয় সারাসু-র। বড় ছেলের আবদারে রাতে স্বামীর বাড়িতে থেকে যেতেও সম্মত হন তিনি। কিন্তু সেই রাতেও জগদীশান রাত করে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। তাতেই রেগে যান সারাসু। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঝগড়ার মধ্যেই জগদীশান জানিয়ে দেন সারাসু তাঁর জন্য পুরনো হয়ে গেছেন। দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান তিনি। এই কথা শোনার পর সারাসু-র বিশ্বাস হয় জগদীশানের নিশ্চয়ই অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। এরপর সব থেমে গেলে রাতে শুয়ে পড়েন জগদীশান।
অভিযোগ, তিনি ঘুমিয়ে পড়লে একটি ছুরি দিয়ে স্বামী পুরুষাঙ্গটি কেটে নেন সারাসু। তারপর শান্তভাবে সেটিকে নিজের ভ্যানিটি ব্যাগে পুরে দরজা বন্ধ করে বাস স্ট্যান্ডের দিকে চলে যান। এদিকে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা জগদীশানকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিবেশিরা। পুলিশেও সবকিছু জানানো হয়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। বাপের বাড়ি যাওয়ার পথেই গ্রেফতার হন সারাসু। তাঁর ব্যাগ থেকে জগদীশানের পুরুষাঙ্গটিও উদ্ধার হয়েছে।