নর্দমায় ঢুকে সেখানে বসে পড়লেন বিধায়ক, কাজও হল সঙ্গে সঙ্গে
আবর্জনা আর নোংরা জলে ভরা নর্দমার মধ্যে প্রবেশ করে গেলেন এক বিধায়ক। তারপর নর্দমার মধ্যেই বসে রইলেন। নিজের দাবিতে অনড় রইলেন তিনি।
স্থানীয় বিধায়ক তিনি। সেই বিধায়ককে এদিন সটান নর্দমায় প্রবেশ করতে দেখে অনেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। স্বয়ং বিধায়ক নর্দমার মধ্যে ঢুকছেন কেন!
শুধু নর্দমায় ঢোকাই নয়, সেখানে গিয়ে বসেও পড়েন তিনি। বিধায়ক নর্দমায় ঢুকে বসে আছেন। একথা ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।
দলীয় কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন ভিড় জমান নর্দমার ধারে। অনেকেই তাঁকে ওই নোংরা থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু বিধায়ক সাফ জানিয়ে দেন তাঁর দাবি মানা না হলে তিনি বার হবেন না। ওখানেই বসে থাকবেন।
২০১৮ সালেও তিনি বিধায়কই ছিলেন। তখন ছিলেন বিরোধী দলে। তখনও তিনি ওই নর্দমার ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য তদ্বির করেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পুর আধিকারিকরা পদক্ষেপ করেননি। পদক্ষেপ করেনি রেল কর্তৃপক্ষও। ২ পক্ষই অন্যকে দেখিয়ে দিচ্ছিল ব্রিজ তৈরির জন্য।
২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিধায়ক হন ওই এলাকা থেকেই। নেল্লোর রুরাল থেকে ফের জিতে বিধায়ক হওয়ার পর শ্রীধর রেড্ডি ফের এখানে ব্রিজ তৈরির জন্য তদ্বির শুরু করেন।
কিন্তু শাসক দলের বিধায়ক হওয়ার পরও তাঁর কথা কানে তুলছিলেন না পুর আধিকারিকরা। এবার তাই তিনি সোজা নর্দমায় প্রবেশ করে নিজের দাবিকে জোরাল করলেন।
বিধায়ক নর্দমায় ঢুকে বসে আছেন, একথা জানার পর দ্রুত সেখানে হাজির হন পুর আধিকারিকরা। কথা দেন তাঁরা ওই নর্দমার ওপর ব্রিজ তৈরি করে দেবেন।
কিন্তু বিধায়ক সাফ জানান তাঁকে লিখিত দিতে হবে যে কবে থেকে ব্রিজ তৈরি শুরু হবে। অগত্যা লিখিতই দিতে বাধ্য হন পুর আধিকারিকরা।
ঠিক হয়েছে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ব্রিজ তৈরি শুরু হবে। ছোট্ট একটা ব্রিজ নর্দমার ওপর দিয়ে বানাতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষকে নর্দমার জলে পা না দিতে হয়।
সে ব্রিজ ১৫ জুলাই শুরু করে ১ মাসের মধ্যেই শেষ করে দেওয়া হবে বলেও লিখিত দিয়েছেন আধিকারিকরা। লিখিত আশ্বাস পাওয়ার পর বিধায়ক শ্রীধর রেড্ডি নর্দমা থেকে বেরিয়ে আসেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা