ওঁরা জানেনই না গর্ভনিরোধক কাকে বলে, তবু ওঁদের পরিবারে সন্তানসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেই
তাঁরা সংসার করেন। সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু এটা জানা নেই গর্ভনিরোধক কাকে বলে। গর্ভনিরোধক ওষুধ সম্বন্ধে তাঁদের কোনও ধারনাই নেই।
সাধারণত এখন প্রচারের গুণেই হোক বা পরিবার বা বন্ধুদের মুখে শুনেই হোক, বর্তমানে মহিলারা গর্ভনিরোধক ওষুধ সম্বন্ধে জানেন। এতে তাঁরা অনেক স্বচ্ছন্দে স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন কোনও বাড়তি চিন্তা ছাড়াই।
শুধু শহর বলেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও এখন গর্ভনিরোধক সম্বন্ধে অনেকের জানা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও গর্ভনিরোধক ওষুধ পাওয়া যায়।
কিন্তু এখনও একটি গবেষণা বলছে কেরালার আদিবাসী মহিলাদের মধ্যে গর্ভনিরোধক সম্বন্ধে ধারনা প্রায় নেই বললেই চলে। অধিকাংশ মহিলাই জানেননা গর্ভনিরোধক কি বা তাতে তাঁদের কি সুবিধা!
কেরালার ওয়ানাডের বাসিন্দা আদিবাসী মহিলাদের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। আর তাতে দেখা গেছে তাঁদের অধিকাংশ জনই গর্ভনিরোধক সম্বন্ধে জানেননা। যাঁরা ২-এর বেশি সন্তান চান তাঁরা তো বিষয়টি নিয়ে ভেবেই দেখেননি।
পানিয়া, কুরিচিয়ার, আদিয়া এবং কাত্তুনাইকেন, এই ৪ আদিবাসীদের বাস এখানে। গবেষণায় দেখা গেছে এঁদের মধ্যে মাত্র ১ জন মহিলা গর্ভনিরোধক সম্বন্ধে শুনেছেন। ব্যবহার বড় একটা কেউই করেননি। বাকিরা এ সম্বন্ধে কিছুই জানেননা।
যদিও গবেষণায় এও দেখা গেছে যে গর্ভনিরোধক সম্বন্ধে এত কম ধারনা থাকা সত্ত্বেও এসব আদিবাসীদের পরিবারে সন্তানের সংখ্যা বেশি নয়। এজন্য এঁদের চিরাচরিত গর্ভধারণ থেকে দূরে থাকার পদ্ধতিকেই কারণ মনে করছেন গবেষকেরা। তবে এখন এঁদের মধ্যে গর্ভনিরোধকের প্রচার শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা