National

সাতপাক দেওয়ার সময় মাঝপথে বিয়ে থামিয়ে দিলেন কনে, কারণও জানালেন

সাতপাক দেওয়া চলছিল। তার মাঝেই আচমকা ঘোরা বন্ধ করে দিলেন কনে। জানালেন এ বিয়ে তিনি করতে পারবেননা। কারণও জানালেন সকলকে।

বিয়ের সন্ধেটা জমে উঠেছিল পরিবার, বন্ধু, অতিথিদের আনন্দে। বিয়ের রীতি নিয়মও চলছিল মণ্ডপে। বিয়েতে একটি অধ্যায় হল সাতপাক। যা থেকে সাতপাকের বন্ধন কথাটা এসেছে। সেই সাত পাকের ২ পাক তখন হয়ে গেছে।

৩ নম্বর পাক দিতে শুরু করতেই আচমকা সকলে অবাক করে থমকে দাঁড়ান কনে। তারপর সেই অবস্থায় পাক থামিয়ে জানিয়ে দেন এ বিয়ে তিনি করতে পারবেননা। বরপক্ষ কনেপক্ষ সহ সব অতিথিই হতবাক হয়ে যান। সকলের প্রশ্ন, বিয়ের মাঝখানে এভাবে বিয়ে ভাঙার অর্থ কি!


কনে মণ্ডপে দাঁড়িয়েই জানান তাঁকে যে যুবকের সঙ্গে বিয়ের কথা বলা হয়েছিল এই ব্যক্তি তিনি নন। ইনি অনেক বেশি কালো। যাঁর গায়ের রং এতটা কালো তাঁকে তিনি জীবনসঙ্গী করতে পারবেননা। এই বলে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যান কনে।

বরপক্ষ, কনেপক্ষ সকলেই ছোটেন কনের কাছে। ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁকে বোঝানোর নানা ভাবে চেষ্টা চলতে থাকে। এটাও বোঝানো হয় যাঁর সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল তাঁর সঙ্গেই কনের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কনে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন।


৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর অগত্যা খালি হাতেই বর ও বরযাত্রী বাড়ি ফিরে যান। বরের বাবা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি কয়েক লক্ষ টাকার গয়না কনেকে দেওয়া হয়েছিল। তা কনেপক্ষ তাঁদের ফেরত দেননি।

অন্যদিকে বর রবি যাদব জানিয়েছেন তিনি এমন ঘটনায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন। তাঁর সঙ্গে বিয়ের আগে বেশ কয়েকবার দেখা করেন নীতা যাদব। তখন তাঁর তাঁকে কালো মনে হয়নি। হঠাৎ বিয়ের মণ্ডপে এমন কাণ্ড ঘটালেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার বারথানা এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button