মা পাশ করলেন মাধ্যমিক, ২ মেয়ে উচ্চমাধ্যমিক, বাড়িতে খুশির বন্যা
অবশেষে মাধ্যমিক পাশ করলেন তাঁদের মা। একইসঙ্গে তাঁরা ২ বোন পাশ করলেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। বাড়িতে এখন এই ৩ পাশের খবরে খুশির হাওয়া।
মেয়েদের তিনি কার্যত একা হাতে বড় করে তোলেন। মেয়েদের পড়াশোনায় ত্রুটি না রাখলেও নিজের পড়াশোনাটা একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে মাধ্যমিকটা আর পাশ করা হয়নি।
এদিকে মেয়েরা বড় হন। তাঁরা যখন জানতে পারেন বিষয়টি তখন তাঁরাই তাঁদের মাকে উৎসাহ দিতে থাকেন। প্রথমে ৫৩ বছরের শীলা রানি দাস বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। এই বয়সে কি পড়াশোনা হয়! কিন্তু মেয়েদের চাপের মুখে তিনি অবশেষে ফের পড়া শুরু করেন।
স্থির করেন মাধ্যমিক পরীক্ষাটা দিয়েই দেবেন। এদিকে মেয়েরা আবার উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছেন। তো মা বসেন মাধ্যমিক পরীক্ষায়, আর মেয়েরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়।
রেজাল্ট যখন বার হল তখন কার্যত নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি প্রৌঢ়া শীলা দেবী। তিনি মাধ্যমিক পাশ করেছেন। ৫৩ বছরে এসে অবশেষে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হল। মাধ্যমিক পাশ করলেন তিনি।
অন্যদিকে দাস পরিবারে খুশির তখনও অনেক বাকি ছিল। শীলা দেবীর ২ মেয়েরও রেজাল্ট বার হয়। ২ জনই উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করেন। ফলে একই বছরে মা পাশ করলেন মাধ্যমিক আর ২ মেয়ে পাশ করলেন উচ্চমাধ্যমিক।
ত্রিপুরার আগরতলার বাসিন্দা দাস পরিবারে খুশি বাঁধ ভাঙে। হবে নাই বা কেন! একসঙ্গে পরিবারের ৩ জনই বড় পরীক্ষায় পাশ করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন। যেখানে শীলা দেবীর কৃতিত্ব আরও অনেক বয়স্ক মানুষকে পড়াশোনা করে পরীক্ষা পাশ করার উৎসাহ যোগাল।