জলের তলায় চিড়িয়াখানা, আতান্তরে পশুরা, বন্ধ সাধারণের প্রবেশ
জলের তলায় চলে গেল একটি চিড়িয়াখানা। ফলে সমস্যায় পড়েছে সেখানে থাকা পশুরা। যদিও তাদের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানায় ক্রমশ জল বাড়ছে। গত ৫ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি জলাধারের জল উপচে গেছে। যা আশপাশের এলাকাকে প্লাবিত করছে। এ চিড়িয়াখানাও তারই কোপে পড়েছে।
জল ঢুকছে হুহু করে। ফলে ক্রমশ চিড়িয়াখানা ভেসে গিয়ে জল বাড়ছে সেখানে। যার হাত ধরে সমস্যায় পড়েছে সেখানকার পশুরা।
পশুদের যাতে এই জল বাড়ার কারণে সমস্যা আরও না বাড়ে সেজন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের আলাদা করে বিভিন্ন খাঁচায় রাখা হয়েছে। যেখানে জল ঢুকবে না।
সেখানে তাদের কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে কিনা সেদিকেও নজর রাখছেন পশু চিকিৎসকেরা। তাঁরা সর্বক্ষণ নজর রাখছেন পশুদের গতিবিধি ও শারীরিক অবস্থার দিকে।
হায়দরাবাদের নেহেরু জুলজিক্যাল পার্কের সাফারি পার্কে ঢুকছে মির আলম জলাধারের জল। সাফারি পার্কের মধ্যে দিয়ে একটি খাল কাটা রয়েছে। সেই খালে জলাধারের উপচে পড়া জল ঢুকছে।
খাল উপচে জল ছড়িয়ে পড়ছে সাফারি পার্কে। টানা ৫ দিনে ক্রমশ জলস্তর বেড়েছে। ফলে চিন্তা বাড়ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যেই চিড়িয়াখানায় সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে তা ফের চালু হবে তাও জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত এশিয়ার অন্যতম প্রধান এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে ১৮১ রকমের ভারতীয় পশু, পাখি ও উভচর প্রাণির প্রজাতি। ৩০০ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে এই সাফারি পার্ক। প্রতিবছর ৩০ লক্ষের মত পর্যটক এই চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসেন।
এটাও ঠিক যে প্রতিবছরই বর্ষায় এভাবে বিভিন্ন সময়ে মির আলম জলাধার উপচে জল ঢুকে পড়ে চিড়িয়াখানা ভাসিয়ে দেয়। তবে তার সুরাহার কোনও বন্দোবস্ত এখনও হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা