স্থানীয় বিধায়ক ও পুর চেয়ারম্যানকে কাদাজলে স্নান করালেন মহিলারা
স্থানীয় বিধায়ক এবং পুর চেয়ারম্যান গাড়ি থেকে নামার পর তাঁদের কাদাজলে স্নান করালেন স্থানীয় মহিলারা। কাদাজলে মাখামাখি হয়ে গেলেন ২ জন।
স্থানীয় বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানের গাড়ি সেখানে পৌঁছনোর আগেই মহিলারা একত্র হয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন পুরুষও ছিলেন। চেয়ারম্যান ও বিধায়কের গাড়ি একসঙ্গেই সেখানে পৌঁছয়।
তাঁরা গাড়ি থেকে নামতেই তাঁদের টেনে আনেন সকলে। তারপর মহিলারা তাঁদের গায়ে কাদাজল ঢেলে দেন। মহিলাদের সঙ্গে এই কাদাজল ঢালায় হাত লাগান পুরুষরাও। সব মিলিয়ে ভরা বর্ষায় হোলির আবহ তৈরি হয়ে যায় এলাকায়।
এতটা পড়ার পর মনে হতেই পারে মহিলারা কোনও কারণে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চেয়ারম্যান ও বিধায়কের ওপর। কিন্তু তা নয়।
উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায় বৃষ্টি কম হয়। এবারও বৃষ্টির তেমন দেখা নেই। স্থানীয়দের প্রাচীন বিশ্বাস যে শহরের প্রধানকে যদি এই সময় কাদাজলে স্নান করানো যায় তাহলে ভাল বৃষ্টি হবে এলাকায়। তাতে কৃষিকাজ ভাল হবে।
কৃষি উৎপাদন ভাল হলে, ধান চাষ ভাল হলে জেলায় সমৃদ্ধি আসবে। সেই বিশ্বাস থেকেই পিপরাদেউড়া এলাকার মানুষ পুর চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠান। সঙ্গে ডাকেন স্থানীয় বিধায়ককেও। তাঁরা এলে তাঁদের কাদাজলে স্নান করানো হয়।
চেয়ারম্যান ও বিধায়কের ওপর এত কাদাজল এদিন ঢালা হয় যে তাঁদের চেনা মুশকিল হচ্ছিল। এরপর রঙের বদলে কাদাজল নিয়ে সেখানে কার্যত হোলি শুরু হয়ে যায়। একে অপরের দিকে কাদাজল নিয়ে ছুটে যান। সকলকে টেনে এনে কাদাজল মাখানো হয়।