ইচ্ছে থাকলেও সরকারি কর্মীদের দ্বিতীয় বিয়ে করা কঠিন হল এক রাজ্যে
যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে হয় তাহলে কিন্তু মানতে হবে কড়া নিয়ম। নাহলে আরও কারও নয়, বিপদ বাড়বে ওই সরকারি কর্মীর পরিবারের। জানাল বিজ্ঞপ্তি।
সরকারি কর্মীরাও তো দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁদের এখন থেকে যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে হয় তাহলে আগে সরকারি যে দফতরে তিনি কাজ করেন সেই দফতরকে জানাতে হবে।
শুধু জানালেই হবে না, সরকারি সেই দফতর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে যদি ওই মহিলা বা পুরুষ কর্মীকে দ্বিতীয় বিয়ে করার অনুমতি দেয় তবেই তিনি দ্বিতীয় বিয়েতে বসতে পারবেন।
আর যদি সরকারকে না জানিয়ে বা সরকারি অনুমতির অপেক্ষা না করেই তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে নেন তাহলে তাঁর পরিবারই সমস্যায় পড়বে আগামী দিনে।
কারণ এভাবে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর যদি কোনও কারণে তাঁর মৃত্যু হয় তাহলে সরকারি কোনও দাবিদাওয়া তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামী ভোগ করতে পারবেননা।
বিহার সরকার এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক সময় প্রথম বিয়ের সঠিক পদ্ধতি মেনে বিবাহবিচ্ছেদ না হতেই অনেকে দ্বিতীয় বিয়ে করে নেন।
সেক্ষেত্রে যদি দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রী বা স্বামী কোনও দাবি নিয়ে সরকারি দফতরে হাজির হন তাহলে কিন্তু তাঁর দাবিই গ্রাহ্য হবে।
তাই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে আগে আইন মেনে বিবাহবিচ্ছেদ হতে হবে। তারপর সেই কাগজপত্র সরকারি দফতরে জমা দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য আবেদন করতে হবে। সবদিক খতিয়ে দেখে সরকার যদি দ্বিতীয় বিয়েতে অনুমতি দেয় তবেই দ্বিতীয় বিয়ে করা সম্ভব। নচেৎ নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা