মুম্বই বিমানবন্দর। অহরহ এখানে বিদেশ থেকে মানুষ আসছেন, যাচ্ছেন। সোমবার তেমনই সিঙ্গাপুর থেকে একটি বিমানে আসে ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা। ১ জন মালয়েশিয়া ও ১ জন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। একজনের বয়স ৪১, অন্যজন ৫৯। অত্যন্ত সুবেশী, সুন্দর কথাবার্তা। দেখলেই মনে হবে কোনও বর্ধিষ্ণু পরিবারের মহিলা। অথবা কোনও বড় সংস্থার উচ্চপদাধিকারী। সাধারণত এমন মহিলাদের বড় একটা সন্দেহের চোখে দেখা হয়না। কিন্তু কাস্টমসের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের চোখ এড়ানো বোধহয় অত সোজা নয়। ফলে শেষ রক্ষা হলনা।
এক মহিলার বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার তাড়াহুড়োটা সন্দেহজনক মনে হয় তাঁদের। তাকে আধিকারিকরা দাঁড় করান। প্রশ্ন করেন কেন এখানে এসেছে? উত্তরে মহিলা জানায় শপিং করতে। একদিন থাকবে। শপিং করবে। তারপর ফিরে যাবে সিঙ্গাপুরে। এই উত্তর সন্দেহ আরও বাড়ায়। আধিকারিকদের মনে হয় যে সিঙ্গাপুরে সারা বিশ্ব থেকে মানুষ গিয়ে শপিং করছেন, সেখানকার মানুষ এত খরচ করে মুম্বই এসে শপিং করতে যাবেন কেন? জিজ্ঞেস করা হয় তার সঙ্গে কে রয়েছেন। ২ মহিলাকে এরপর ঘরে নিয়ে গিয়ে সার্চ করেন ১ মহিলা আধিকারিক। তখনই দেখা যায় তাঁদের উর্ধ্বাঙ্গ ও নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাসে ২ কেজি সোনার চেন রয়েছে। দুজনের মিলিয়ে ৪ কেজি। যার বাজার মূল্য ১ কোটি টাকার ওপর।
পরে ওই ২ মহিলা স্বীকার করে বিমানবন্দরের বাইরে এক ব্যক্তিকে এই চেন দেওয়ার জন্য তাদের পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ জানতে পারে এর আগেও এভাবে সোনা ঢুকেছে। এই চেন যে দোকানদারের কাছে পাঠানোর কথা ছিল সেই দোকান সিল করে দিয়েছে পুলিশ। দোকানদারের খোঁজ চলছে।