চোখ রাঙাচ্ছে নাইরোবি মাছি, স্পর্শে অন্ধও হতে পারেন
এ রাজ্যে আগেই হানা দিয়েছিল নাইরোবি মাছি। এবার তারা থাবা বসাল লাগোয়া রাজ্যেও। সেখানেও এবার একের পর এক মানুষকে শিকার বানাচ্ছে তারা।
নাইরোবি মাছি এক জাতীয় পতঙ্গ, যারা পাহাড়ি অঞ্চলে বংশবৃদ্ধি করে। আর পাঁচটা মাছি গায়ে বসে উড়ে যায়। তাতে কারও কোনও ক্ষতি হয়না। কেবল খাবারে বসলে চিন্তা থাকে। কিন্তু নাইরোবি ফ্লাই বা নাইরোবি মাছি শরীরের কোনও অংশে বসলে তারা সেখানে একটি তরল অ্যাসিড ছাড়তে থাকে। যা ভয়ংকর বিষাক্ত।
পেডরিন নামে ওই তরল চামড়া স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে সেই অংশটা পুড়িয়ে দেয়। অসহ্য জ্বালা হতে থাকে। কোনও কাটা বা ঘায়ের ওপর বসলে ওই অ্যাসিড রক্তের সঙ্গে মিশে গিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তোলে। আর যদি উড়ে এসে কারও চোখে বসে তাহলে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা চূড়ান্ত।
শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের পাহাড় লাগোয়া এলাকায় একের পর এক নাইরোবি মাছির হানা দেওয়ার ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছিল। অনেক মানুষ নাইরোবি মাছির স্পর্শে আক্রান্ত হয়েছেন। এবার সেই মাছি হানা দিল লাগোয়া রাজ্য বিহারে।
বিহারের সীমাঞ্চল এলাকার ৪টি জেলা কিষণগঞ্জ, পূর্ণিয়া, আরারিয়া এবং কাটিহার-এর বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই নাইরোবি মাছির স্পর্শে আক্রান্ত হচ্ছেন।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগী হয়েছে। মানুষকে এই মাছি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। কীভাবে এই মাছিকে এড়ানো যায় তার পাঠও দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
কিন্তু সেভাবে একটা মাছিকে নিজের থেকে দূরে রাখা মুশকিল যে তাও মেনে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা। আপাতত সব ভুলে এখন এই এলাকা জুড়ে নতুন চিন্তার নাম নাইরোবি মাছি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা