টয়লেট খুঁড়তেই মিলল গুপ্তধন, ঘড়া ভর্তি মোহর
বাড়ির শৌচাগারটি একদম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই তা ভেঙে নতুন করে তৈরির কাজ চলছিল। ঠিক তখনই মিলল গুপ্তধন। যা দেখে লোভ সামলাতে পারলেননা শ্রমিকরা।
একটি বাড়ির শৌচাগারটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই বাড়ির কর্ত্রী সেই শৌচাগারকে নতুন করে তৈরির কাজ করাচ্ছিলেন। নতুন করে শৌচাগার তৈরির জন্য অনেকটা মাটি খুঁড়ে ফেলেছিলেন শ্রমিকরা।
মাটির অনেকটা নিচে পর্যন্ত খুঁড়ে ফেলার পর তাঁদের নজরে পড়ে একটি ঘড়ার মত জিনিস। দ্রুত হাত চালিয়ে আরও একটু খনন করতেই একটি পিতলের ঘড়া বেরিয়ে আসে। যার মধ্যে ভর্তি করা ছিল সোনার মোহর।
মোহর দেখে প্রাথমিকভাবে ভয় পেয়ে শ্রমিকরা কাজ মাঝপথে ফেলেই পালিয়ে যান। কিন্তু পরদিন ফেরত আসেন। তারপর তাঁরাই সেই ঘড়া উদ্ধার করেন। তার থেকে সোনার মোহর নিয়ে গিয়ে গৃহকর্ত্রী নূর জাহানের ছেলেকে দেখান।
এরপর বিষয়টি শ্রমিক ও পরিবারের লোকজনের মধ্যেই চাপা ছিল এক সপ্তাহ। পরে পুলিশ কোনও সূত্রে এই মোহর পাওয়ার কথা জানতে পারে।
পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে পরিবারের লোকজনকে চাপ দিতেই তাঁরা সত্যটা বলে দেন। এরপর সেখান থেকে বেশি কিছু মোহর উদ্ধারও করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের ধারনা এর চেয়ে বেশি মোহর পাওয়া গিয়েছে। যা তাদের কাছ থেকে লুকিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কয়েকজন শ্রমিকেরও খোঁজ নেই। বাকি শ্রমিকদের জিজ্ঞেস করে ঠিক কটা মোহর ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সোনার মোহরগুলি খুব প্রাচীন নয়। সেগুলি ব্রিটিশ আমলের।
যে কটি মোহর পাওয়া গিয়েছে তা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা