খুলে ফেলতে বলা হল অন্তর্বাস, অন্তর্বাস ছাড়াই পরীক্ষা দিতে বাধ্য হল ছাত্রীরা
১৭ বছর বয়স না হলে এ পরীক্ষায় বসাই যায়না। ওই বয়সের কিশোরীদের পরীক্ষার হলে খুলে ফেলতে বলা হল অন্তর্বাস। অন্তর্বাস না পরেই পরীক্ষা দিল ছাত্রীরা।
১৭ বছরের ওপরে বয়স হলে তবেই বসা যায় ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট পরীক্ষায়। জীবনের এক অন্যতম পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাই দিতে এসেছিল ছাত্রীরা।
পরীক্ষার হলে আসার পর তাদের স্ক্যান করা হয়। তারপর পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরা ওই ছাত্রীদের এক এক করে অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বলেন। তাদের এটাও জানানো হয় যে অন্তর্বাস খুলে রেখেই পরীক্ষায় বসতে হবে।
পরীক্ষা দিতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘ পরিশ্রম করা ছাত্রীরা অন্য কোনও উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে হলের বাইরে তাদের অন্তর্বাস ছেড়ে রেখে পরীক্ষা দিতে বসে। খুব স্বাভাবিকভাবেই ১৭ বছরের বেশি বয়সী কিশোরীদের জন্য এ এক বিষময় অভিজ্ঞতা ছিল।
ফলে অভিভাবকদের অভিযোগ এতে অনেকের পরীক্ষা খারাপ হয়। এমনকি পরীক্ষার পর এক অভিভাবকের দাবি তাঁকে একটি শাল মেয়েকে দিতে বলা হয়। যাতে সে শালটা পরে বাইরে আসতে পারে। লজ্জা ও ক্ষোভে কার্যত অনেক ছাত্রীই এই অবস্থায় মন দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার কেরালার তিরুবনন্তপুরমের কাছে আয়ুর নামে জায়গার একটি পরীক্ষা সেন্টারে। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে সেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি থেকে হাত ঝেড়ে ফেলেছে। তাদের দাবি, এই পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। তারাই যা নির্দেশ দেওয়ার দিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়। অন্যদিকে যে সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে তার সামনে ছাত্রীরা প্রতিবাদ মিছিলও করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা