ব্রা খুলে রেখে ৩ ঘণ্টা পরীক্ষা, চুল সামনে রেখে পরীক্ষা দেয় ছাত্রীরা, ঘটনায় গ্রেফতার ৫
১৭ বছরের বেশি বয়সী ছাত্রীদের ব্রা খুলে পরীক্ষা কাণ্ডে এখনও অনেক ছাত্রী সেই ৩ ঘণ্টা ভুলতে পারছেনা। এদিকে পুরো ঘটনায় পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হল।
ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট পরীক্ষায় একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রীদের ব্রা খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করার ঘটনায় শুরু হল পদক্ষেপ গ্রহণ।
এদিকে এখনও সেই দিনের স্মৃতি ভুলতে পারছেনা ওই কিশোরীরা। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৭ বা তার বেশি। ওই বয়সের এক কিশোরীর জন্য এভাবে ছাত্রদের সঙ্গে ব্রা পরীক্ষা হলের বাইরে খুলে রেখে পরীক্ষা দেওয়া যে দুঃসহ অভিজ্ঞতা তা মেনে নিচ্ছেন সকলেই।
ওইদিন ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা ৯০ শতাংশ কিশোরীকেই ব্রা খুলতে বাধ্য করা হয়। যাদের ব্রায়ে ধাতব হুক ছিল তাদেরই ব্রা খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয় বলে দাবি করেছেন অভিভাবকরা। ছাত্রীরাও একই কথা জানিয়েছে।
এমনকি কয়েকজন ছাত্রী এও জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় তারা লজ্জা ঢাকতে তাদের লম্বা চুল সামনে টেনে নিয়ে পরীক্ষা দেয়। কারণ হলে ছাত্ররাও তাদের সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছিল।
তারা এও জানিয়েছে, গত রবিবার হওয়া ওই পরীক্ষার পর তাদের ব্রা ফের পরতেও দেওয়া হয়নি। তাদের ব্রা হাতে নিয়ে পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
খুব স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশ ছাত্রী ওই পরিস্থিতির কথা কিছুতেই মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেনা। এদিকে ৩ জন অভিভাবক পুলিশের কাছে এই ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও যে সংস্থাকে এই পরীক্ষা পরিচালনের ভার দেওয়া হয়েছিল তারা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
এদিকে বিষয়টি খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। কেরালা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ৫ জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। যে ৩ মহিলাকর্মী ছাত্রীদের এই নির্দেশ দেয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা