৪ বছরে ১৩ জন মহিলাকে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে বিয়ে, শেষরক্ষা হল না
মাত্র ৪ বছরের মধ্যে ১৩ জন মহিলাকে কথায় ভুলিয়ে বিয়ে করল এক ব্যক্তি। যদিও এত কিছুর পর শেষরক্ষা হল না। জালে শিবশঙ্কর বাবু।
তার লক্ষ্য ছিলেন বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলারা। একাকী হয়ে পড়া ওই মহিলারা নতুন জীবনসঙ্গী পেতে চাইতেন। আর সেই দুর্বলতার সুযোগ নিত সে।
প্রথমে মিষ্টি কথায় মহিলাদের মোহিত করে ফেলত। তারপর নিজেও যে বিবাহ বিচ্ছিন্ন তা তাঁদের জানিয়ে একটি নথিও দেখাত। প্রমাণ হাতে পেয়ে মহিলারা তাকে বিশ্বাস করতেন চোখ বুজে।
আর সেই ভুয়ো কাগজের হাত ধরে মহিলাদের নজরে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠত এদাপা শিবশঙ্কর বাবু। তবে সে এগোনোর আগে দেখে নিত ওই মহিলারা একা এবং যথেষ্ট ধনী কিনা।
একাকীত্ব থেকে মুক্তি পেতে ও নতুন জীবন শুরু করতে ওই মহিলাদের প্রলুব্ধ করতে এদাপার খুব একটা অসুবিধা হতনা। তার কথার যাদুতে দ্রুত বিয়েতে রাজি হয়ে যেতেন মহিলারা। রাজি হতেই বিয়েটাও হয়ে যেত। আর তারপরই শুরু হত ওই ব্যক্তির খেলা।
বিয়ের প্রথম কটা দিন কাটিয়েই সে ওই মহিলার কাছে নানা ছুতোয় টাকা, গয়না আদায় করা শুরু করে দিত। তারপর এক সময় তার আর পাত্তা পেতেন না ওই মহিলারা।
ততক্ষণে এদাপা অবশ্য অন্য মহিলাকে বিয়ে করার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এভাবে মাত্র ৪ বছরের মধ্যে ১৩ জন মহিলাকে বিয়ে করে এদাপা। দক্ষিণ ভারতের হায়দরাবাদ, রাচাকোন্দা, সঙ্গরেড্ডি, গুন্টুর, বিজয়ওয়াড়া এবং অনন্তপুর, এই শহরগুলিতেই ছড়িয়ে রয়েছেন তার ১৩ স্ত্রী।
৩৫ বছরের এদাপার এই পাতা ফাঁদ বেশ ভালই চলছিল। কিন্তু সমস্যা হল এক মহিলার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরে। রামচন্দ্রপুরম থানায় ওই মহিলা ১ সপ্তাহ আগে অভিযোগ দায়ের করেন যে ওই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ে করে তাঁর কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং ৭ লক্ষ টাকার গয়না হাতিয়ে পালিয়ে গেছে।
মহিলা জানান, ২০২১ সাল থেকেই তাঁকে বিয়ে করার চেষ্টা চালাচ্ছিল এদাপা। জানিয়েছিল তার বাবা মা অনেকদিন আগেই গত হয়েছেন। তবে সে ২ লক্ষ টাকা মাস মাইনেতে একটি সফটওয়্যার সংস্থায় কর্মরত।
বিয়ের পর এদাপা জানায় তারা ২ জন মার্কিন মুলুকে যাবে বলে ২৫ লক্ষ টাকা দরকার। এভাবে সে টাকা ও গয়না হাতিয়ে নেয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। অবশেষে সাইবারাবাদ পুলিশ এদাপা শিবশঙ্কর বাবুকে গ্রেফতার করে। অন্য মহিলাদের কীভাবে সে ঠকিয়েছে তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা