বলে বলেও কাজ হয়নি, নিজেরাই তৈরি করে মোষকে দিয়ে ফিতে কাটালেন স্থানীয়রা
বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল নেতাদের। স্থানীয় বিধায়ক থেকে সাংসদ সকলের কাছেই দরবার করা হয়েছিল। কিন্তু কেউই কিছু করেননি। অবশেষে নিজেরাই অভিনব উদ্যোগ নিলেন স্থানীয়রা।
বছরের পর বছর ধরে কখনও তাঁরা হাজির হয়েছেন স্থানীয় বিধায়কের কাছে। কখনও সাংসদের দরজায়। সকলেই কথা শুনেছেন। আবেদনপত্র রেখে দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করেননি।
এদিকে দিনের পর দিন গ্রামের একমাত্র বাস দাঁড়ানোর জায়গায় রোদ, বৃষ্টি মাথায় করে ছাত্র থেকে মহিলা, পুরুষ সকলকে অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য। অনেক সময় রোদ, বৃষ্টি মাথায় করে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় গন্তব্যে পৌঁছনোর বাসের জন্য।
সেখানে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় ছিল বটে। ৪০ বছর আগে বানানো। তা অনেক বছর আগেই ভেঙে এক জঞ্জাল ফেলার জায়গায় পরিণত হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই তার থেকে কিছুটা দূরে রোদ বৃষ্টি মাথায় করেই গ্রামের ছাত্রছাত্রী থেকে বাকিদের অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য।
গ্রামবাসীরা আবেদন করেছিলেন যে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে প্রতিদিন এত মানুষ অপেক্ষায় থাকেন সেটি অন্তত মেরামতি করে দেওয়া হোক। কিন্তু তা না হওয়ায় গ্রামবাসীরাই নিজেদের উদ্যোগে ভাঙাচোরা যাত্রী প্রতীক্ষালয়কে কিছুটা সারিয়ে খোলা মাথা ঢেকে দিয়েছেন নারকেল গাছের পাতা দিয়ে।
তারপর তাঁদের দ্বারা নির্মিত সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয় ফিতে কেটে উদ্বোধন করা হয়। ফিতে কাটতে আনা হয় একটি মোষকে। মোষকে দিয়ে ফিতে কাটিয়ে হয় উদ্বোধন। সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মাধ্যমে।
কর্ণাটকের গদাগ জেলার ভালেসুর গ্রামের গ্রামবাসীদের এই মোষ দিয়ে ফিতে কাটানোর ছবি কার্যতই স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। এই ছবি দেখার পরই তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সেখানে একটি নতুন যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করে দেওয়া হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা