তিনি পুলিশবালা মাস্টার, এই পুলিশকর্মীকে পাওয়া যায় গাছের তলায়, খোলা মাঠে
তিনি পেশায় একজন পুলিশকর্মী। তবে কেবল পেশাতেই আটকে থাকেননি তিনি। সমাজের অন্ধকার জগতকে শিক্ষা দিতে দিতে সমাজে আলোর রেখাও টেনে চলেছেন একাধারে।
এলাকায় তাঁকে সবাই চেনেন পুলিশবালা মাস্টার নামে। নামটা শুনলে একটু ফিল্মি মনে হতেই পারে। পুলিশবালা শব্দটাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ ভারতে সিনেমার অভাব নেই। তবে এ কাহিনি দক্ষিণ ভারতের নয়। আর সিনেমাও নয়।
পুলিশবালা মাস্টারকে কখনও দেখা যায় কোনও গাছের তলায়। কখনও দেখা যায় খোলা কোনও মাঠে বা টুকরো জমিতে। পুলিশবালা মাস্টার হয়ে এই পুলিশকর্মী কিন্তু ভয় দেখান না। বরং সমাজকে আলো দেখান।
রঞ্জিত যাদব পেশায় পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর। নিজের ডিউটি নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের পর যে সময় পড়ে থাকে সেই সময়টা তিনি সিনেমা দেখে বা অন্য কোনও বিনোদনে ব্যয় করেননা। তাঁর বিনোদনটা একটু অন্যরকম। তিনি ওই সময় পথ শিশুদের পড়ান।
রঞ্জিত যাদবের নজর পড়ে অনেক মানুষ রাস্তায় থাকেন তাঁদের ওপর। তাঁরা ভিক্ষা করে জীবনধারণ করেন। তাঁদের সন্তানেরা সারাদিন খেলা করে বেড়ায়। কেউ কেউ ভিক্ষাও করে।
তাদের বাবা মাকে পড়াশোনার প্রয়োজনের কথা বুঝিয়ে রঞ্জিত যাদব এদের নিয়ে কখনও গাছের তলায়, কখনও কোনও ফাঁকা জায়গায় ক্লাস করান। এদের বই খাতা, পেন, পেনসিল, রবারও তিনিই কিনে দেন।
প্রথম দিকে না আসলেও এখন তাঁর ক্লাসে এই পথ শিশুদের ভিড় উপচে পড়ে। সকলেই তাদের পুলিশবালা মাস্টারকে খুব পছন্দও করে। এদের পড়ানো আবার পুলিশের চাকরি সামলানো, সমস্যা হয়না?
রঞ্জিত যাদবের দাবি, তাঁর উপরে থাকা আধিকারিকরা তাঁর এই ক্লাসের কথা জানেন। তাই তাঁরা চেষ্টা করেন এমনভাবে তাঁর ডিউটি ফেলতে যাতে তিনি তাঁর এই মহৎ কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় এই পুলিশবালা মাস্টার নিজেই একটা খবরে পরিণত হয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা