শিশুদের নিয়ে ঘরে খিল দিলেন মায়েরা, জাল ছুঁড়ে হায়েনা ধরলেন গ্রামবাসীরা
এ প্রাণি বড় একটা লোকালয়ে প্রবেশ করে না। এর আগে গ্রামে হায়েনা দেখা যায়নি। ফলে ভয়ে শিশুদের নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজায় খিল দিয়ে দিলেন মায়েরা।
গ্রামের সকলে আর পাঁচটা দিনের মতই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মাঠে চাষের কাজ চলছিল। এমন সময় ক্ষেতের দিক থেকেই চিৎকার শোনা যায়। কৃষকরা মাঠ থেকে জানান দেন হায়েনা এসেছে।
গ্রামের বাকিরা সেই আওয়াজ শুনে লাঠি হাতে তুলে নেন। শিশুদের নিয়ে মায়েরা ঢুকে পড়েন ঘরে। ঘরে ঢুকে আতঙ্কে খিল দিয়ে দেন তাঁরা।
এদিকে গ্রামের পুরুষরা ছোটেন লাঠি হাতে। গ্রামের কাছে দিঘির ধারে হায়েনাটির দেখা মিলেছিল। সেদিকে যেতেই গ্রামবাসীরা হায়েনাটিকে দেখতে পান।
এদিকে এত লোকজন আসতে দেখে হকচকিয়ে পালাতে শুরু করে হায়েনা। গ্রামবাসীরাও চারিদিক থেকে তাকে তাড়া করেন। বেশি দূর যেতে পারেনি হায়েনাটি। গ্রামবাসীরা জাল ছুঁড়ে তাকে পাকড়াও করে নেন।
ঘটনার খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বন দফতরকে খবর দেয়। বন দফতরের লোকজন এসে হায়েনাটিকে সেখান থেকে নিয়ে যান। কিন্তু গ্রামবাসীরা আতঙ্কেই রয়েছেন।
গত ১০ বছরেও এ তল্লাটে কখনও হায়েনার হানা হয়নি। এবার কি তবে নতুন উপদ্রব শুরু হল! কানপুর থেকে কিছুটা দূরে মহারাজপুর এলাকার রেনাস গ্রামের মানুষ এখন নয়া আতঙ্কে জর্জরিত।
হায়েনা থেকে বাঁচাতে তাঁদের গৃহপালিত পশুগুলিকেও সাবধানে রাখা শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। জঙ্গল থেকে লেপার্ড গ্রামে হানা দেয়। এবার কি তবে হায়েনাও যোগ দিল? এখন এই প্রশ্নই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে গ্রামবাসীদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা