সমুদ্রের ধারে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে এসে উবে গেলেন স্ত্রী, ২ দিন পর হল রহস্যের কিনারা
স্বামীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতে সমুদ্রের ধারে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। তারপর স্বামীর পাশ থেকে নিমেষে উবে যান তিনি। সেই রহস্যের কিনার হল বুধবার।
স্বামীর সঙ্গে প্রথমে গিয়েছিলেন একটি মন্দিরে। দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে পুজো দিয়ে ২১ বছরের ওই তরুণী ও তাঁর স্বামী চলে আসেন সোজা সমুদ্রের ধারে। সেখানে সন্ধেবেলা সমুদ্রের ধারেই ঘুরছিলেন ২ জনে।
সেইসময় স্বামীর একটি ফোন আসে। তিনি ফোন ধরেন। আর তাঁর পাশেই স্ত্রী সেলফি তোলায় ব্যস্ত হন। কার্যত ১-২ মিনিটের মধ্যেই ওই যুবক ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেন স্ত্রী পাশে নেই।
কোথায় গেলেন তিনি? তন্নতন্ন করে খুঁজেও আশপাশে তাঁর দেখা মেলেনি। স্বামীর স্থির বিশ্বাস হয় যে নিশ্চয়ই কোনও বড় ঢেউয়ে টাল সামলাতে না পেরে সমুদ্রে ভেসে গেছেন স্ত্রী।
তিনি দ্রুত প্রশাসনে খবর দেন। প্রশাসনের তরফ থেকে রাতেই সমুদ্রসৈকত ধরে জলে খোঁজ করা হয়। রাতেও চলে খোঁজ। সকাল হলে ওই তরুণীর খোঁজে ভারতীয় নৌসেনাও জলে নামে।
এমনকি উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও কাজে লাগানো হয়। অনেক স্পিড বোট জলে নামে। নৌসেনার একটি হেলিকপ্টারও আকাশ পথে খোঁজ শুরু করে।
বিশাখাপত্তনমের বিখ্যাত রামকৃষ্ণ বিচ-এ হারিয়ে গেলেও খোঁজ চলে সমুদ্রের ধার ধরে বহু দূর পর্যন্ত। মাত্র ২ দিনে প্রশাসনের এই খোঁজ চালাতে ১ কোটি টাকার ওপর খরচ হয়ে যায়।
তারপরেও কিন্তু ওই তরুণীর কোনও খোঁজ মেলেনি। ডুবুরিরাও কোনও খোঁজ দিতে পারেননি। এবার অন্য প্রশ্ন উঁকি দেয়। সত্যিই ওই তরুণী সমুদ্রেই ডুবে গেছেন কি? কারণ ডুবে থাকলে এভাবে খোঁজের পর তাঁর দেহ পাওয়া যেত।
এসবের মধ্যেই বুধবার এক এমন খবর আসে যা মহিলার স্বামী সহ গোটা প্রশাসনকে নাড়িয়ে দেয়। অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরে ওই তরুণীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে দেখা গেছে বলে খবর আসে। এবার পুরো বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায় প্রশাসনের কাছে।
ওই তরুণকে বিয়ে করলেও তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এক অন্য পুরুষের সঙ্গে। রামকৃষ্ণ বিচে স্বামী ফোনে একটু অন্যমনস্ক হতেই সেখান থেকে চম্পট দেন ওই তরুণী।
তারপর প্রেমিকের হাত ধরে পৌঁছে যান নেল্লোরে। মাঝখান থেকে তাঁকে খুঁজতে গিয়ে প্রশাসনের ১ কোটির ওপর টাকা খরচ হয়ে গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা