National

মাথায় হাত ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকদের, দেদার বিকোচ্ছে জাল পড়ার বই

দেদার বিকোচ্ছে জাল পড়ার বই। অথচ এই বইগুলিই সরকার অনুমোদিত। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য এটাই পাঠ্য। এখন শুরু হয়েছে দোকান ও ছাপাখানায় হানা।

নকল হইতে সাবধান। এই পরামর্শ কি এবার সরকারি বইয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? কারণ দেদার বিকোচ্ছে সরকার অনুমোদিত এবং সরকারি কাউন্সিলের দ্বারা তৈরি পাঠ্যপুস্তক।

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোর্স ও তার অধ্যায় সহ বই বানিয়ে দেয় ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটি। বিভিন্ন বোর্ড এনসিইআরটি-র তৈরি করা পাঠ্যসূচি মেনেই পড়ায়।


সেই এনসিইআরটি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদকে এই বই ছাপার সত্ত্ব প্রদান করেছিল। পরিষদ আবার টেন্ডার ডেকে ৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে এই বই ছাপার অধিকার প্রদান করে।

যার মধ্যে একটি আগ্রার এবং ২টি ঝাঁসির। শর্ত ছিল তারা বই বিক্রি করে তার লভ্যাংশ উত্তরপ্রদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদকে প্রদান করবে।


পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের সব রাজ্যেই কিন্তু এনসিইআরটি-র বই পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ জানতে পারে এই বইয়ের নকল বাজারে দেদার বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে। এতে এনসিইআরটি-র অনুমোদিত সিলেবাস মেনেই বই পড়ছে বলে নিশ্চিত হলেও ঠকতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।

প্রসঙ্গত এনসিইআরটি-র নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্ৰেণির ৬৭টি বই রয়েছে ৩৪টি বিষয়ের ওপর। কিন্তু বেশ কয়েকটি ছাপাখানা তার নকল ছাপা শুরু করেছে। যা ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি করছে।

বিষয়টি জানার পরই তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে প্রয়াগরাজের মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ। যা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বই বিক্রেতাদের দোকানে আচমকা হানা দিচ্ছে পুলিশ। হানা দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সন্দেহভাজন ছাপাখানাতেও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button