ফ্ল্যাটে ঢুকতে দিচ্ছেনা ভাড়াটে, সিঁড়িতে শুয়ে রাত কাটাচ্ছেন বাড়িওয়ালা দম্পতি
ফ্ল্যাট তাঁদের। ফ্ল্যাটটি ভাড়ার যে চুক্তি হয়েছিল তাও ফুরিয়েছে। তবু বাড়িওয়ালাদের ফ্ল্যাটে ঢুকতে দিচ্ছে না ভাড়াটে। সিঁড়িতে শুয়ে রাত কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ দম্পতি।
অনেকেই শহরের বাইরে থাকেন। সেখানে থাকা নিজের ফাঁকা ফ্ল্যাট ভাড়া দেন। ভাড়া যাঁকে দেওয়া হয় তাঁর সাথে চুক্তিও হয়। কাগজপত্রে স্থির হয় তিনি ওই ফ্ল্যাটে কত ভাড়ায় থাকতে পারবেন এবং কত দিন থাকতে পারবেন।
এক বৃদ্ধ দম্পতি তেমনই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছিলেন। তবে যখন তাঁরা দেখেন যে চুক্তি শেষ হয়েছে, তখন তাঁরা স্থির করেন আর ফ্ল্যাট ভাড়া নয়, সেখানেই তাঁরা পাকাপাকিভাবে থাকবেন।
সেইমত ২ জনে মুম্বই থেকে চলেও আসেন। তারপর নিজের ফ্ল্যাটে হাজির হয়ে ভাড়াটেকে জানান তাঁদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে ফ্ল্যাট খালি করে দিতে হবে।
কিন্তু ফ্ল্যাটে থাকা ভাড়াটে জানিয়ে দেন চুক্তি শেষ হলেও তাঁরা ফ্ল্যাট ছাড়বেন না। ফ্ল্যাটে ওই দম্পতিকে ঢুকতেও দেননি তাঁরা।
ক্ষোভে কষ্টে ওই দম্পতি অগত্যা উপায় না দেখে আবাসনের সিঁড়িতেই আশ্রয় নেন। এখন দিনরাত সেখানেই কাটছে তাঁদের। রাতও কাটছে নিজের ফ্ল্যাটের বাইরে সিঁড়িতে শুয়ে।
মু্ম্বইতে থেকে পাকাপাকিভাবে গ্রেটার নয়ডায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকতে আসা ওই দম্পতি সুনীল ও রাখি গুপ্তা জানান, তাঁরা পুলিশের কাছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
ওই ভাড়াটে এক মহিলা। তিনি পুলিশ এলেই কান্নাকাটি জুড়ে দিচ্ছেন। একটি কাগজে লিখিতভাবে এটাও জানান যে পরদিন সকালেই তিনি ফ্ল্যাট খালি করে দেবেন।
কিন্তু পুলিশ গেলে যখন তাঁকে পরদিন বলতে যাওয়া হয় যে এবার ফ্ল্যাট খালি করতে হবে, তিনি ভয় দেখাতে শুরু করেন তাঁদের বলে দাবি করেছেন ওই দম্পতি। তাই এখন সিঁড়িতেই দিনরাত কাটছে বাড়ির মালিকের। আর ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে নিশ্চিন্তে দিন কাটাচ্ছেন ভাড়াটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা